ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিজার করালেন অর্থোপেডিক চিকিৎসক, প্রসূতির মৃত্যু

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরের ইসলামপুরে বাইপাস সড়কে হযরত শাহ কামাল (রা) জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় গা ডাকা দিয়েছে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কর্মরত অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. মমিনুল ইসলাম মুন্না। অন্যদিকে, ওই হাসপাতালে বারবার ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত ১৯ জুলাই পৌর এলাকার দক্ষিণ গাঁওকুড়া গ্রামের মাহবুবের স্ত্রী আসমাউল হুসনা পুন্নি (২৩) গর্ভবতী অবস্থায় সাড়ে ১৪ হাজার টাকায় রফাদফায় হযরত শাহ কামাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর কোন পরিক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ম্যানেজারকে দিয়ে এনেস্থিসিয়া করে সিজারিয়ান অপারেশন করান অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট ডাঃ মমিনুল ইসলাম মুন্না। এ সময় কর্তৃপক্ষ রোগীকে বাঁচানো যাচ্ছে না প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে পরিবারকে দ্রুত ময়মনসিংহে নিতে বলে। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়ার পরেই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ ডাক্তার মুমিনুল ইসলাম মুন্নার ভূল চিকিৎসায় মারা যায় পুন্নি। এ ঘটনার পর থেকে ডাঃ মুন্না গা ডাকা দিয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ও বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সচেতন মহলের অভিযোগ, একজন অর্থোপেডিক চিকিৎসক কেমনে সিজার এবং ম্যানেজার কেমনে এনেস্থিসিয়া করে। এর আগেও ভুল চিকিৎসায় উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গিলাবাড়ী এলাকার দরিদ্র তাজুল ইসলাম দম্পত্তির নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার নামে কসাই খানা পরিনত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।

তারা আরও বলেন, ওই ডাক্তার ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কর্মরত থেকেও অর্নার বোর্ড ও প্রেসক্রিপশনে ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল উল্লেখ করে সেবার নামে ব্যবসা করছেন।

হযরত শাহ কামাল (রা) জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক জানান, সিজারের পরে প্রেসার আপ-ডাউন করায় আমরা দ্রুত তাদের ময়মনসিংহ নিতে বলি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের বলেন, একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার কখনই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে পারবেন না। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ওই প্রাঃ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে ডাঃ মুন্না ওই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ডিউটি করেন নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিজার করালেন অর্থোপেডিক চিকিৎসক, প্রসূতির মৃত্যু

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

জামালপুরের ইসলামপুরে বাইপাস সড়কে হযরত শাহ কামাল (রা) জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় গা ডাকা দিয়েছে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কর্মরত অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. মমিনুল ইসলাম মুন্না। অন্যদিকে, ওই হাসপাতালে বারবার ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত ১৯ জুলাই পৌর এলাকার দক্ষিণ গাঁওকুড়া গ্রামের মাহবুবের স্ত্রী আসমাউল হুসনা পুন্নি (২৩) গর্ভবতী অবস্থায় সাড়ে ১৪ হাজার টাকায় রফাদফায় হযরত শাহ কামাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর কোন পরিক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ম্যানেজারকে দিয়ে এনেস্থিসিয়া করে সিজারিয়ান অপারেশন করান অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট ডাঃ মমিনুল ইসলাম মুন্না। এ সময় কর্তৃপক্ষ রোগীকে বাঁচানো যাচ্ছে না প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে পরিবারকে দ্রুত ময়মনসিংহে নিতে বলে। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়ার পরেই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ ডাক্তার মুমিনুল ইসলাম মুন্নার ভূল চিকিৎসায় মারা যায় পুন্নি। এ ঘটনার পর থেকে ডাঃ মুন্না গা ডাকা দিয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ও বারবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সচেতন মহলের অভিযোগ, একজন অর্থোপেডিক চিকিৎসক কেমনে সিজার এবং ম্যানেজার কেমনে এনেস্থিসিয়া করে। এর আগেও ভুল চিকিৎসায় উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গিলাবাড়ী এলাকার দরিদ্র তাজুল ইসলাম দম্পত্তির নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার নামে কসাই খানা পরিনত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।

তারা আরও বলেন, ওই ডাক্তার ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কর্মরত থেকেও অর্নার বোর্ড ও প্রেসক্রিপশনে ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল উল্লেখ করে সেবার নামে ব্যবসা করছেন।

হযরত শাহ কামাল (রা) জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক জানান, সিজারের পরে প্রেসার আপ-ডাউন করায় আমরা দ্রুত তাদের ময়মনসিংহ নিতে বলি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের বলেন, একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার কখনই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে পারবেন না। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ওই প্রাঃ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে ডাঃ মুন্না ওই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ডিউটি করেন নি।