ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক ৬৫ মন্ত্রী-এমপির সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দু’দককে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫ মন্ত্রী ও ৪০ এমপির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আয় বেড়েছে সীমাহীন। দুর্নীতি ছাড়া এরকম সম্পদ বৃদ্ধি সম্ভব নয়। দু’দক থেকে ইতিপূর্বে বলা হয়, কমিশন মন্ত্রী-এমপিদের এ অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাপারে অনুসন্ধান করবে। কিন্তু দু’দক এখন পর্যন্ত সে কাজটি করেনি। এই কারণে রবিবার (১৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এ চিঠি পাঠান। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান তিনি।

যাদের সম্পদের অনুসন্ধান চাওয়া হয়েছে, তারা হলো-সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি, ডা. জাহেদ মালেক, ডা. এনামুর রহমান, নসরুল হামিদ, ডা. দীপু মনি, আনিসুল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জুনাইদ আহমেদ পলক, ফরিদুল হক খান, তাজুল ইসলাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাকির হোসেন, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমেদ, কামাল আহমেদ মজুমদার, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সরওয়ার জাহান, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শরিফুল ইসলাম জিন্না, জিয়াউর রহমান, মেহের আফরোজ, কামরুল ইসলাম, হাছান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম বকুল, কাজী নাবিল আহমেদ, জাহিদ আহসান রাসেল, বেনজীর আহমেদ, মহিববুর রহমান, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দিন আহম্মদ, মামুনুর রশিদ কিরণ প্রমুখ।

ব্যারিস্টার সারওয়ার হোসেন বলেন, বিগত সরকারের এসব মন্ত্রী ও এমপিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে শতকরা ২০০ ভাগ। দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া ছাড়া এভাবে সম্পদ বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাবেক ৬৫ মন্ত্রী-এমপির সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দু’দককে চিঠি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫ মন্ত্রী ও ৪০ এমপির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আয় বেড়েছে সীমাহীন। দুর্নীতি ছাড়া এরকম সম্পদ বৃদ্ধি সম্ভব নয়। দু’দক থেকে ইতিপূর্বে বলা হয়, কমিশন মন্ত্রী-এমপিদের এ অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাপারে অনুসন্ধান করবে। কিন্তু দু’দক এখন পর্যন্ত সে কাজটি করেনি। এই কারণে রবিবার (১৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এ চিঠি পাঠান। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান তিনি।

যাদের সম্পদের অনুসন্ধান চাওয়া হয়েছে, তারা হলো-সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি, ডা. জাহেদ মালেক, ডা. এনামুর রহমান, নসরুল হামিদ, ডা. দীপু মনি, আনিসুল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জুনাইদ আহমেদ পলক, ফরিদুল হক খান, তাজুল ইসলাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাকির হোসেন, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমেদ, কামাল আহমেদ মজুমদার, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সরওয়ার জাহান, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শরিফুল ইসলাম জিন্না, জিয়াউর রহমান, মেহের আফরোজ, কামরুল ইসলাম, হাছান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম বকুল, কাজী নাবিল আহমেদ, জাহিদ আহসান রাসেল, বেনজীর আহমেদ, মহিববুর রহমান, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দিন আহম্মদ, মামুনুর রশিদ কিরণ প্রমুখ।

ব্যারিস্টার সারওয়ার হোসেন বলেন, বিগত সরকারের এসব মন্ত্রী ও এমপিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে শতকরা ২০০ ভাগ। দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া ছাড়া এভাবে সম্পদ বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।