সাবেক কাউন্সিলরের বাসায় বিক্ষুব্দ জনতার আগুন, ৬ জনের মৃত্যু
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার তিতাস থানা পুলিশের দুই সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙা গ্রামের বাবু মিয়া (২১) গুলিতে নিহত হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া একই রাতে কুমিল্লা নগরীর অশোকতলা এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহ আলমের বাসভবনে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দেয়। এতে দ্বগ্ধ হয়ে ৬ জন মারা যায়।
জানা গেছে, স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা সোমবার রাতে তিতাস থানা ঘেরাও করতে গেলে থানা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। থানা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারের পর কিছু মানুষ তিতাস থানা এবং থানার পাশের মার্কেটে অগ্নিসংযোগ করে। থানার ভেতরে ঢুকে লোকজন সব মালামাল নিয়ে যায়।
এদিকে, দাউদকান্দি উপজেলার সদরের তুজারভাঙা গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়া (২১) দাউদকান্দি বাজারে যান। দাউদকান্দি মডেল থানার সামনের সড়কে পৌঁছার পর গুলিতে তিনি মারা যান।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় হামলা চালাতে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে কোন পক্ষের গুলিতে সে মারা গেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, সোমবার রাতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহ আলমের নগরীর অশোকতলা এলাকার বাসায় বিক্ষুব্ধ জনতার দেয়া আগুনে ৬ জন মারা যান। পরে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
তারা হলো- অশোকতলা এলাকার আশিক (১৪), শাকিল (১৪), শাওন (১২), মাহফুজুর রহমান মুকুল (২২), রনি (১৬) ও মহিন (১৭)। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট থেকে জেনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ না করায় পুলিশ মরদেহ থানায় আনেনি।