সাবেক এমপি রতনের ছত্রছায়ায় অঢেল সম্পদের মালিক দলিল লেখক ছোবাহান

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি হওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন শুধু নিজের ভাগ্যই বদল করেননি। তার ছত্রছায়ায় আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন তার সহযোগীরাও। তাদেরই একজন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুছ ছোবাহান। গত ১৫ বছরে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদের।
জানা গেছে, দলিল লেখক মো. আব্দুছ ছোবাহান বাদশাগঞ্জ বাজরে সামনে ১ তলা পাকা বাড়ি ছাড়াও তিনি এখন বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক।
গত ১৫ বছরের ব্যবধানে বহু জমির মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ তো আছেই। একাধিক ব্যাংক হিসেবে রয়েছে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরও বহাল তবিয়তে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বেড়াচ্ছেন দলিল লেখক ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর ছুবান। একসময় তিনি দলিল লেখকের কাজটি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু ২০০৮ সালে এমপি রতন এলাকায় আসার পর থেকে তার অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে থাকে। এমপির ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় বাদশাগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের মাঝে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিল আব্দুছ সোবাহান ।
এমপি রতনে ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ও ও তার ছেলে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু ধারধা বাঁধনের প্রভাব খাটিয়ে বাদশাগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পদে থেকে আব্দুছ ছোবাহান দলিল লেখক সমিতি ও সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, দলিল লেখক আব্দুছ ছোবাহান রতন নামক আলাদিনের চেরাগ পেয়ে এখন কোটিপতি ও বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন আব্দুছ ছোবাহান । এ ছাড়াও উপজেলার পাইকরাটি ইউনিয়নে গন্ডাবের মৌজায় এক অসহায় ভূমিহীনের জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম না প্রকাশ করা সত্ত্বে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ বাজারে একাধিক বাসিন্দা
বাজারের বলেন, গত ১৫ বছর আগে আব্দুছ ছোবাহান দলিল লেখকের কাজটি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এমপি রতনে ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ও তার ছেলে উপজেলা পাইকুরাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু ধারধা বাঁধনের প্রভাব দেখিয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পদে থেকে আব্দুছ ছোবাহান দলিল লেখক সমিতি ও সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও টাকার মালিক হয়েছে সে এত পরিমাণ টাকাও জমির মালিক কি করে হয়েছে ? দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দলিল লেখক মো. আব্দুছ ছোবাহান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিক্তিহীন। আমি আপনার সাথে এ বিষয়ে পরে কথা বলি বলে তিনি কলটি কেটা দেন।
এ ব্যাপারে বাদশাগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার মঞ্জুরুল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও কল রিসিভ না করা বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনি রায় বলেন, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।