ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: লঞ্চ মাস্টারসহ ৫ জন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জনকে তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এরপর শুনানি শেষে বিচারক আরিফা চৌধুরী হিমেল তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া ৫ জন হলো- ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় মাস্টার সেলিম হাওলাদার (৫৪), ম্যানেজার ফারুক খান (৭০) এবং তাসরিফ-৪ লঞ্চ এর মাস্টার মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় মাস্টার মনিরুজ্জামান (২৮)।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। বেলা ৩টার দিকে এই দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় এমভি তাশরিফের রশি ছিঁড়ে লঞ্চে ওঠার জন্য পন্টুনে অপেক্ষমাণ ৫ যাত্রীকে আঘাত করে। এতে তারা পন্টুনে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের মধ্যে তিনজন এক পরিবারের। তারা হলো- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) ও তাদের ৪ বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। বেলাল গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। নিহত অপর দু’জন হলো ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: লঞ্চ মাস্টারসহ ৫ জন রিমান্ডে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জনকে তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এরপর শুনানি শেষে বিচারক আরিফা চৌধুরী হিমেল তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া ৫ জন হলো- ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় মাস্টার সেলিম হাওলাদার (৫৪), ম্যানেজার ফারুক খান (৭০) এবং তাসরিফ-৪ লঞ্চ এর মাস্টার মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় মাস্টার মনিরুজ্জামান (২৮)।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকালে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। বেলা ৩টার দিকে এই দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় এমভি তাশরিফের রশি ছিঁড়ে লঞ্চে ওঠার জন্য পন্টুনে অপেক্ষমাণ ৫ যাত্রীকে আঘাত করে। এতে তারা পন্টুনে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের মধ্যে তিনজন এক পরিবারের। তারা হলো- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) ও তাদের ৪ বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। বেলাল গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। নিহত অপর দু’জন হলো ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।