সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি ও অপপ্রচার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি বদলী হওয়া দু’দক মামলার আসামি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর সাবেক অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শহিদুল ইসলাম পুনরায় ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরতে দপ্তরে দপ্তরে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টেও মামলা চলমান রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাানো হচ্ছে। হুমকি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এক সংবাদকর্মী।
জানা গেছে, দুর্নীতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে চলতি বছরের ১০ জুন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: জাকির হোসেনের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে শহিদুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে বদলী করা হয়। তার দুর্নীতি ও বদলীর সংবাদ যেসব সাংবাদিক প্রচার করেন তাদের নামে ফেইক একাউন্ট খুলে (ফেসবুক) বিভ্রান্তমুলক কথা বার্তা ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে শহিদুলসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় দুর্নীতির অভিযুক্ত ব্যক্তি শহিদুল আবারও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র।
কর্মচারী শহিদুল ইসলামের দুর্নীতি-অনিয়মে অতিষ্ট তার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও। তবে শহিদুল ইসমালের এমন কু-কান্ডের জন্য তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
তারা জানান, শহিদুল ইসলাম ডিসি অফিসের সামান্য কর্মচারী হয়ে কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বনে যায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেই সংবাদ প্রকাশিত হলে তার বিরুদ্ধে দুদকে একটি মামলা হয়। যা এখনো চলমান। দুদকে মামলা হওয়ার পরেও সে থেমে নেই।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জেলার পীরগঞ্জে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে যেনে সেই নির্ধারিত জায়গা নিতে শহিদুল ইসলাম গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে জমি ক্রয় করে। এরপর সেই জমি সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েকগুন অর্থাৎ উচ্চমূল্যে বিক্রি করে সরকারের কাছে। শুধু তাই নয়, সরকারের টিসিবির পণ্য প্যাকেটজাত করণে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ায় তাকে বদলি করা হয় কুড়িগ্রাম জেলায়।
ডিসি অফিসে সামান্য বেতনের কর্মচারী এখন ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠের পাশে নির্মাণ করেছেন বহুতল আলিশান বাড়ি। এছাড়াও শহরে ৮ শতক জমির উপর বসতভিটা, সদরের শিংপাড়া এলাকায় তার ৬০ শতক জমি ও আবাদি এক একর জমি রয়েছে। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা চলমান রয়েছে। শুধু তাই নয় গত ৩ জুন জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের সামনে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতা অপব্যবহার ও ঘুস বাণিজ্য সহ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেন জেলার সাংবাদিকরা। শহিদুলের দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হলে উপস্থিত জনতাও তার বিরুদ্ধে দুদক সচীবকে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
অভিযোগের বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, সংবাদকর্মীর নামে অপপ্রচারের বিষয়টি নজরে এসেছে, আইনশৃখলাবাহিনী তাকে সনাক্ত করার চেস্টা করছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান,দুর্নীতির বিষয়ে কোন আপোষ নেই। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুদকে মামলা চলমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে।