ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ পর্যন্ত সংলাপে ডাকা পেল না জাতীয় পার্টি

বিশেষ প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এবারের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ডাকা হয়নি। সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলের ব্যাপারে আপত্তির কারণে তাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

জাতীয় পার্টির নেতারা এবারের সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকার কথা বলে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত সংলাপে ডাকা পেল না দলটি।

জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো জাতীয় পার্টির মতামত নেয়া প্রয়োজন মনে করছে না। আর সে কারণে সংলাপে ডাকেনি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই দফায় গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আলোচনায় অংশ নেবে।

এর আগে বিএনপিসহ ৫টি দল ও তিনটি জোটের সাথে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ হয় ৫ অক্টোবর। মাঝে পূজার ছুটির কারণে সব দলের সাথে আলোচনা শেষ হয়নি। শনিবার বাকি দল ও জোটগুলোর সাথে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন সরকার তৃতীয় দফায় এই সংলাপ করছে।

গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। সেই সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়। তবে এ দফায় এখনো দলটিকে আলোচনায় ডাকা হয়নি।

সূত্রমতে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল জাপা। সে কারণে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তি আসে। সেটি বিবেচনায় নিয়েছে সরকার।

শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে মিত্র বা সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা কখনো মন্ত্রিত্ব নিয়ে সরকারের অংশীদার হয়েছেন।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও অংশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছিল দলটি। গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতনের পর জাতীয় পার্টির অতীত নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এখন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সেই অতীত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শেষ পর্যন্ত সংলাপে ডাকা পেল না জাতীয় পার্টি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এবারের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ডাকা হয়নি। সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলের ব্যাপারে আপত্তির কারণে তাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

জাতীয় পার্টির নেতারা এবারের সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকার কথা বলে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত সংলাপে ডাকা পেল না দলটি।

জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো জাতীয় পার্টির মতামত নেয়া প্রয়োজন মনে করছে না। আর সে কারণে সংলাপে ডাকেনি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই দফায় গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আলোচনায় অংশ নেবে।

এর আগে বিএনপিসহ ৫টি দল ও তিনটি জোটের সাথে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ হয় ৫ অক্টোবর। মাঝে পূজার ছুটির কারণে সব দলের সাথে আলোচনা শেষ হয়নি। শনিবার বাকি দল ও জোটগুলোর সাথে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন সরকার তৃতীয় দফায় এই সংলাপ করছে।

গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। সেই সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়। তবে এ দফায় এখনো দলটিকে আলোচনায় ডাকা হয়নি।

সূত্রমতে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল জাপা। সে কারণে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তি আসে। সেটি বিবেচনায় নিয়েছে সরকার।

শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে মিত্র বা সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা কখনো মন্ত্রিত্ব নিয়ে সরকারের অংশীদার হয়েছেন।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও অংশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছিল দলটি। গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতনের পর জাতীয় পার্টির অতীত নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এখন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সেই অতীত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।