শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, ছবিতে দেখুন কুড়িগ্রামের বন্যা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী, নুনখাওয়া ও হাতিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
প্লাবিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী ৪১ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের দুই শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। তবে জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে দুর্যোগ কবলিত মানুষের সংখ্যা ৬২ হাজার ২শত।
বানভাসি পরিবারগুলো বসতবাড়ীতে বাঁশের মাচান, নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় আশ্রয় নিয়েছে। অধিকাংশ পরিবারে চুলা জ্বলছে না। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তাদের গৃহপালিত পশুপাখী।
বানভাসীদের অনেকেই গবাদি পশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বন্যা আশ্রয কেন্দ্রে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের কাঁচা-পাঁকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মতিন বলেন, পানি হু হু করে ঘরেও প্রবেশ করেছে। চিন্তা ভাবনা করছি উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়ার।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নের অনেক চর ও দ্বীপ চর তলিয়ে গেছে। অনেক কষ্টে বসবাস করছে চরের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যন্য নদ নদীর পানি বিপদসীমা নিচে রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, বানভাসীদের জন্য ২৮২ মেট্রিক টন চাল ও ২১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত রয়েছে ৩৯৫ টন চাল ও ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ।
জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় পাএখন পর্যন্ত ৬৭ মাধ্যমিক পর্যায়ের ঠদান বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ হগাজার হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, আউস ধান ও শাকসবজি নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে উলিপুর ও সদর উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন এবং বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।