শহীদ পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে মালামাল লুট, মামলা নেয়নি পুলিশ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কর্তৃক শহীদ পরিবারের সন্তানের বসতঘর ভেঙে নগদ টাকাসহ কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়েছে। একই সাথে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামানের বড় ছেলে আকরাম হোসেন। এ সশয় তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বেয়াই নুরুল ইসলাম শিল্প ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ পরিশোধ না করায় ২.৯৭ একর জমি নিলাম করে ব্যাংক। সেই নিলামকৃত জমি কিনেছিলাম আমরা। পরবর্তীতে ওই জমি দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছিলো।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ দখল নিতে ২৭ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন দুই শতাধিক সন্ত্রাসী ও স্কেভেটর, টলি নিয়ে হামলা চালায়। ওই সময় তারা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে পুরো বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঘরে রক্ষিত জমি কেনার নগদ ১০ লাখ টাকা, ৩০ ভরি সোনার গহনা, তিনটি গরু, ছয়টি ছাগল, প্রায় ৬০ টন ধান ও গমসহ কোটি টাকার মালামাল সাত-আটটি ট্রাক্টরের টলিতে করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিনই থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হামিদপুরের ঘটনায় কেউই আমার সাথে মামলার বিষয়ে কথা বলেননি। কাগজপত্রসহ থানায় এলে অবশ্যই মামলা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা তাদের নিলামে ক্রয়কৃত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে এবং জুলুম নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ সভাপতির সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরার বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ এবং আগামীকাল (রবিবার) সকালে শহরের মুজিব সড়কে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের আটকের দাবিতে তারা মানববন্ধন করবেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত আসাদুজ্জামানসহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন দুপুরে সদরের হামিদপুর পশ্চিমপাড়ায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শহীদ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মো. আসাদুজ্জামানের বাড়িঘর ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। দেড় শতাধিক লোকজন হামলা চালিয়ে ওই বাড়িতে লুটপাট চালায়।
তাদের অভিযোগ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন তার বেয়াই নুরুল ইসলামের পক্ষে তাদের বাড়ির জমি দখলের জন্য এই হামলা ও লুটপাট চালান। হামলার সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা, সোনার গয়না, গরু-ছাগল, ধান-গমসহ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা।