রোহিঙ্গা যুবককে জন্ম নিবন্ধন, গ্রেফতার ইউপি সচিব কারাগারে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা যুবককে জন্ম-সনদ প্রদানের অভিযোগে কুমিল্লায় এক ইউপি সচিবকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (২১ জুন) বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় জেলার মুরাদনগর উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন কুমিল্লার আদর্শ উপজেলার গুনানন্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা আঞ্চলিক অফিসে পাসপোর্ট অফিসে মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের বাসিন্দা পরিচয়ে জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে পাসপোর্ট করতে আসে ইয়াছিন (১৯) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক। এ সময় ওই যুবককে দেখে পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে জেলা ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা যুবক ইয়াছিন জানায়, সে মায়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। মায়ানমার থেকে গত ২০ দিন আগে বাংলাদেশে আসার পর কক্সবাজার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯ এ থাকতো। এরপর তার চাচাতো ভাই ওসমান কুমিল্লার মদিনা ট্রাভেলসের হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ নামে দুই দালালের কাছে পাসপোর্ট করার কন্ট্রাক্ট দেয়। পরে কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম ঘোড়াশাল গ্রামের ভুয়া ঠিকানায় রোহিঙ্গা যুবক ইয়াছিনের সকল কাগজপত্র তৈরি করে দেয়।
রোহিঙ্গা ওই যুবক আটক হওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে ডিবি পুলিশ। এরপরই রোহিঙ্গা যুবক কীভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছেন এ বিষয়টির তদন্তে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। তদন্তে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইসমাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পায় গোয়েন্দারা।
কুমিল্লা জেলা ডিবি’র ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, রোহিঙ্গা যুবককে জন্মনিবন্ধন দেয়ার মামলায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ইউপি সচিব ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুন) বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মুরাদনগর ইউএনও সিফাত উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সরকারি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের সেবা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের জন্য বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে।