‘রেমালে’র তাণ্ডবে সুন্দরবন থেকে ৯৬টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ১০০ বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা। মৃত বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে ৯৬টি হরিণ ও ৪টি বন্য শূকর।
আরও পড়ুন : সিলেটে ভয়াবহ বন্যা, পানিবন্দী লাখো মানুষ
৩৬ ঘণ্টা ধরে সুন্দরবনে তান্ডব চালানো ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ছোবলে মারা যাওয়া এসব বন্যপ্রাণীর মরদেহ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। পরে এসব মরদেহগুলো ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যেই মাটিচাপা দেয়া হয়।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার এ বিষয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল শুরুতেই সুন্দরবনের ওপর ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় জলোচ্ছ্বাসে ডুবে ছিলো সুন্দরবন। এই দীর্ঘসময় ধরে সুন্দরবন জলমগ্ন থাকায় হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর শাবক বেশি মারা গেছে।
আরও পড়ুন : http://‘কৃষকদের সার-বীজের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন’
তিনি আরও বলেন, কচিখালী, কটকা, শেলারচর, নীলকমল ও নারিকেলবাড়িয়া এলাকা থেকে মৃত ৯৬টি হরিণ ও ৪টি বন্যশূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরো ১৮টি জীবিত হরিণ ও একটি অজগর সাপ। এর আগেও আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৭টি হরিণ। পরে চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মাংসের টুকরাগুলো এমপি আনারের বলে ধারণা, জানালেন ডিবি প্রধান
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে ৫০টি পুকুর লবণ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন বিভাগের স্টেশন অফিসে ওঠা-নামার জন্য তৈরি কাঠের জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০টি। পাশাপাশি টহলফাঁড়িতে ওয়ারলেস যোগাযোগের জন্য স্থাপিত ২০টি টাওয়ারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া স্টেশন অফিসে রাস্তাঘাট, রান্নাঘর, ল্যাম্প পোস্ট, বন্যপ্রাণী আশ্রয় নেওয়ার টিলাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।