ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন শেখ হাসিনা

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে জানায়, মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অর্থ-আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম। এর মধ্যস্ততা করেন, ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। সম্প্রতি এই বিষয়ে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন নামে একটি পোর্টাল।

তাতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে, ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার এক ব্যাঙ্কের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম। নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সাথে এই চুক্তি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছে টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েক সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী হন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি সেই সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও তাদের জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করেন শেখ হাসিনা।

২০১৮ সালে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সামরিক শক্তির বিস্তার রোধে, পশ্চিমা ঢাল হয়ে কাজ করে এটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন শেখ হাসিনা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে জানায়, মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অর্থ-আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম। এর মধ্যস্ততা করেন, ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে, এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর ২০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। সম্প্রতি এই বিষয়ে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন নামে একটি পোর্টাল।

তাতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে, ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার এক ব্যাঙ্কের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম। নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সাথে এই চুক্তি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছে টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েক সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী হন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি সেই সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও তাদের জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করেন শেখ হাসিনা।

২০১৮ সালে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি চালু হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে তারা। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সামরিক শক্তির বিস্তার রোধে, পশ্চিমা ঢাল হয়ে কাজ করে এটি।