রাতে সীমান্ত পাড়ি দেন ওবায়দুল কাদের
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে
গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এরমধ্যে অনেকে গোপনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। আবার কেউ দালাল ও ইমিগ্রেশনকে ‘ম্যানেজ’ করে পালাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার গ্রেপ্তারও হচ্ছেন। দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় কেউ ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি বলে সূত্রে জানা গেছে।
কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ছাড়া অধিকাংশ ব্যক্তি দেশ ছাড়ার জন্য ভারত সীমান্ত বেছে নিয়েছে। দেশত্যাগের জন্য তারা যশোর, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, দিনাজপুরের হিলি ও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত ব্যবহার করেছেন। তাদের পারাপারের কাজে বিভিন্ন সীমান্তে গড়ে উঠেছে একাধিক চক্র। এ চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালীদের পার করে দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তথ্যমতে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট মধ্যরাতে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোরে চলে যান। সেখানে তাকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেয়া হয়। এর পরদিন তিনি বিশেষ প্রহরায় সীমান্ত অতিক্রম করেন বলে জানিয়েছেন যশোর ও বেনাপোলের বেশ কয়েকটি দায়িত্বশীল সূত্র। তবে তারা পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি।
তবে বেনাপোল ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা পার্শ্ববর্তী পুটখালী ঘাট এলাকা দিয়ে ভারতে যান। ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ভারতে পালাতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না। ভারতীয় অংশের দালালরা একা পেয়ে নির্যাতনের পর গলা টিপে হত্যা করা হয়। বেশ কয়েকদিন পড়ে থাকার পর পান্নার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।