রাতের ভোট নিয়ে তদন্তে টিম, ফেঁসে যাচ্ছেন যারা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
ভোট রাতে নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক। দুদক মহাপরিচালক বলেছেন, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, দিনের ভোট রাতে করা, জালিয়াতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এ তথ্য করে বলেন, নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হবে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম যেমন, দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি কাউন্ট দেখানো, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং দুদকেও কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের এসব অভিযুক্ত কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাভেদ পাটোয়ারী, শহিদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক র্যাবপ্রধান ড. বেনজির আহমেদ, সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার ওসি, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসার।
ডিসি হিসাবে তৎকালীন দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তারা হলেন- ময়মনসিংহের ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, নেত্রকোনার মঈনউল ইসলাম, জামালপুরের আহমেদ কবীর, শেরপুরের আনার কলি মাহবুব, সিলেটের এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মৌলভীবাজারের মো. তোফায়েল ইসলাম, হবিগঞ্জের মাহমুদুল কবীর মুরাদ, ঢাকার আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, গাজীপুরের ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, নারায়ণগঞ্জের রাব্বী মিয়া, মুন্সীগঞ্জের সায়লা ফারজানা, কিশোরগঞ্জের মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের মো. শহীদুল ইসলাম, নরসিংদীর সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, মাদারীপুরের মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, শরীয়তপুরের মো. কাজী আবু তালেব, ফরিদপুরের উম্মে সালমা তানজিয়া, মানিকগঞ্জের এসএম ফেরদৌস, গোপালগঞ্জের মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, রাজবাড়ীর মো. শওকত আলী, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, রাঙামাটির একেএম মামুনুর রশিদ, বান্দরবানের মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মো. শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজারের মো. কামাল হোসেন, লক্ষ্মীপুরের অঞ্জন চন্দ্র পাল, চাঁদপুরের মো. মাজেদুর রহমান খান, ফেনীর মো. ওয়াহিদুজ্জামান, নোয়াখালীর তন্ময় দাস, কুমিল্লার মো. আবুল ফজল মীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হায়াত-উদ-দৌলা খান, রাজশাহীর এসএম আব্দুল কাদের, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এজেডএম নুরুল হক, নওগাঁর মো. মিজানুর রহমান, নাটোরের মো. শাহরিয়াজ, পাবনার জসিম উদ্দিন, বগুড়ার ফয়েজ আহমেদ, সিরাজগঞ্জের কামরুন নাহার সিদ্দীকা, জয়পুরহাটের মোহাম্মদ জাকির হোসেন, খুলনার মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, বাগেরহাটের তপন কুমার বিশ্বাস, সাতক্ষীরার এসএম মোস্তফা কামাল, যশোরের মো. আব্দুল আওয়াল, মাগুরার মো. আলী আকবর, ঝিনাইদহের সরোজ কুমার নাথ, নড়াইলের আনজুমান আরা, কুষ্টিয়ার মো. আসলাম হোসেন, মেহেরপুরের মো. আতাউল গনি, চুয়াডাঙ্গার গোপাল চন্দ্র নাথ, বরিশালের এসএম অজিয়র রহমান, ঝালকাঠির মো. হামিদুল হক, পিরোজপুরের আবু আহমেদ সিদ্দিকী, পটুয়াখালীর মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, বরগুনার কবীর মাহমুদ, ভোলার মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দীক ও রংপুরের এনামুল হাবীব।
পুলিশ সুপাররা হলেন-পঞ্চগড়ের তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা পিপিএম, ঠাকুরগাঁওয়ের উত্তম প্রসাদ পাঠক, দিনাজপুরের শাহ ইফতেখার আহমেদ, নীলফামারীর মোহাম্মদ গোলাম সবুর পিপিএম, লালমনিরহাটের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, রংপুরের ফেরদৌস আলী, গাইবান্ধার কামাল হোসেন, জয়পুরহাটের মোহাম্মদ নূরে আলম, বগুড়ার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছাইদুল হাসান, নওগাঁর মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর সাইফুর রহমান, নাটোরের তারিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের আরিফুর রহমান, পাবনার আকবর আলী মুনশি, মেহেরপুরের রাফিউল আলম, কুষ্টিয়ার এএইচএম আব্দুর রকির, চুয়াডাঙ্গার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঝিনাইদহের আজিম উল আহসান, মাগুরার মশিউদ্দৌলা রেজা, নড়াইলের সাদিয়া খাতুন, বাগেরহাটের আবুল হাসনাত খান, খুলনার সাঈদুর রহমান পিপিএম, সাতক্ষীরার আবদুস ছালাম, পটুয়াখালীর সাইদুল ইসলাম, ভোলার মাহিদুজ্জামান, বরিশালের ওয়াহিদুল ইসলাম বিপিএম, ঝালকাঠির মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল। এছাড়া পিরোজপুরের মোহাম্মদ শফিউর রহমান, গোপালগঞ্জের আল-বেলি আফিফা, মাদারীপুরের মাসুদ আলম বিপিএম-পিপিএম, শরীয়তপুরের মাহবুবুল আলম, ফরিদপুরের মো. শাহজাহান পিপিএম, রাজবাড়ীর জিএম আবুল কালাম আজাদ, মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম, মুন্সীগঞ্জের মোহাম্মদ আসলাম খান, নরসিংদীর মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম, ঢাকা জেলার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম, গাজীপুরের কাজী শফিকুল আলম, টাঙ্গাইলের সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জামালপুরের মো. কামরুজ্জামান বিপিএম, শেরপুরের মোনালিসা বেগম পিপিএম, নেত্রকোনার ফয়েজ আহমেদ, কিশোরগঞ্জের মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম, সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ এহসান শাহ, সিলেটের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মৌলভীবাজারের মনজুর রহমান, হবিগঞ্জের এসএম মুরাদ আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, কুমিল্লার আব্দুল মান্নান, ফেনীর জাকির হাসান, নোয়াখালীর শহীদুল ইসলাম পিপিএম, লক্ষ্মীপুরের তারেক বিন রশিদ, চট্টগ্রামের এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম, কক্সবাজারের মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম, রাঙামাটির মীর আবু তৌহিদ বিপিএম এবং বান্দবানের সৈকত শাহীন।