ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হত্যার ১১ বছর পর মামলা

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোর উপশহর এলাকায় ১১ বছর আগে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল হত্যার ঘটনায় যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত বুলবুলের ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

বুলবুল হত্যায় এর আগে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যশোর কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

মামলার বাদীর আইনজীবী গাজী এনামুল হক জানান, মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন যশোর উপশহর সি-ব্লক এলাকার মনসুর আলম, বিরামপুর গামতলা এলাকার হাদিউজ্জামান চিমা, উপশহর ১১ নম্বর সেক্টর এলাকার সেতু, লিটন ওরফে হাঁস লিটন, ঘোপ বউবাজার এলাকার টাক শিপন, ঘোপ কবরস্থান এলাকার তামিম, সিরাজ সিনহা গ্রামের কামরুল ও বরাত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাদী মামুনুর রশিদ বেড়াতে যান বুলবুলের বাসায়। বাড়িতে ঢোকার সময় তিনি দেখতে পান বাড়ির বাইরে রাস্তায় মনসুর, চিমা, টাক শিপনসহ অন্য আসামিরা অবস্থান করছে। বাড়ির ভেতরে গিয়ে তিনি বুলবুলকে কমপিউটারে বসে কাজ করতে দেখেন। এর কিছুসময় পর মনসুর জানালা দিয়ে বুলবুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত বুলবুলকে সাথে সাথে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হওয়ায় এবং পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় সেসময় স্বজনদের কেউ মামলা করতে পারেননি বলে জানান বাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যশোরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হত্যার ১১ বছর পর মামলা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

যশোর উপশহর এলাকায় ১১ বছর আগে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল হত্যার ঘটনায় যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত বুলবুলের ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

বুলবুল হত্যায় এর আগে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যশোর কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

মামলার বাদীর আইনজীবী গাজী এনামুল হক জানান, মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন যশোর উপশহর সি-ব্লক এলাকার মনসুর আলম, বিরামপুর গামতলা এলাকার হাদিউজ্জামান চিমা, উপশহর ১১ নম্বর সেক্টর এলাকার সেতু, লিটন ওরফে হাঁস লিটন, ঘোপ বউবাজার এলাকার টাক শিপন, ঘোপ কবরস্থান এলাকার তামিম, সিরাজ সিনহা গ্রামের কামরুল ও বরাত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাদী মামুনুর রশিদ বেড়াতে যান বুলবুলের বাসায়। বাড়িতে ঢোকার সময় তিনি দেখতে পান বাড়ির বাইরে রাস্তায় মনসুর, চিমা, টাক শিপনসহ অন্য আসামিরা অবস্থান করছে। বাড়ির ভেতরে গিয়ে তিনি বুলবুলকে কমপিউটারে বসে কাজ করতে দেখেন। এর কিছুসময় পর মনসুর জানালা দিয়ে বুলবুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত বুলবুলকে সাথে সাথে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হওয়ায় এবং পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় সেসময় স্বজনদের কেউ মামলা করতে পারেননি বলে জানান বাদী।