ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, পানিবন্দি মানুষ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


কয়েকদিন টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে মনু ও ধলাই নদীর ১৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে ৩০০ এর অধিক গ্রাম প্রায় দুই লক্ষাধীক মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। সিলেট ও জেলা সদরের সাথে অন্যান্য উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা শহরজুরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে, ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে কলগঞ্জ উপজেলার ইসলাপুর ইউনিয়নের গংগানগর, মোকাবিল, মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি, আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা ও রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর বন্যার পানি প্রবেশ করছে। অপরদিকে, নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করছে কুলাউড়া হাজিপুর, মিয়ারপাড়া, চকসালন।

রাজনগর উপজেলায় খাসপ্রেমনগর, আদিনাবাদ, উজিরপুর , একামধু ও কোনাগাও এলাকার শতাধিক গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়ি ঘর পানির নীচে তলিয়ে গেছে। জেলার চারটি নদী মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল জানান, মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ও উজানে রেলওয়ে ব্রীজে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার কুশিয়ারা নদী (শেরপুর) ১১ সেন্টিমিটার, জুড়ী নদী ১৯৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, আউশ ধানের ক্ষতির পাশাপাশি সদ্য রোপনকৃত ৭ উপজেলায় আমন ধান ও সবজির ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালামসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী, ওএসপি (বার), এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল মৌলভীবাজার জেলার বন্যা দূর্গত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। দূর্যোগপূর্ণ সময়ে সেনাবাহিনী সবসময় জনগনের পাশে অতিথের মতো থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মৌলভীবাজারে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, পানিবন্দি মানুষ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪


কয়েকদিন টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে মনু ও ধলাই নদীর ১৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে ৩০০ এর অধিক গ্রাম প্রায় দুই লক্ষাধীক মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। সিলেট ও জেলা সদরের সাথে অন্যান্য উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা শহরজুরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে, ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে কলগঞ্জ উপজেলার ইসলাপুর ইউনিয়নের গংগানগর, মোকাবিল, মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি, আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা ও রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর বন্যার পানি প্রবেশ করছে। অপরদিকে, নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করছে কুলাউড়া হাজিপুর, মিয়ারপাড়া, চকসালন।

রাজনগর উপজেলায় খাসপ্রেমনগর, আদিনাবাদ, উজিরপুর , একামধু ও কোনাগাও এলাকার শতাধিক গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়ি ঘর পানির নীচে তলিয়ে গেছে। জেলার চারটি নদী মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল জানান, মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ও উজানে রেলওয়ে ব্রীজে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার কুশিয়ারা নদী (শেরপুর) ১১ সেন্টিমিটার, জুড়ী নদী ১৯৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, আউশ ধানের ক্ষতির পাশাপাশি সদ্য রোপনকৃত ৭ উপজেলায় আমন ধান ও সবজির ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালামসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী, ওএসপি (বার), এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল মৌলভীবাজার জেলার বন্যা দূর্গত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। দূর্যোগপূর্ণ সময়ে সেনাবাহিনী সবসময় জনগনের পাশে অতিথের মতো থাকবে।