ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর ৫ দিন পর বাড়ি ফিরলো তরুণী, ১০ মাস পর তোলা হলো মরদেহ

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরে মৃত্যুর পাঁচদিন পর বাড়ি ফিরে এলো তরুণী, ১০ মাস পর কবর থেকে তোলা হল মরদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার শৌলডুবি গ্রামে।

জানাগেছে, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শশুর বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে সদরপুর আসার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর সেই থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।এ ঘটনার পর হাসির বাবা সেক হাবিবুর রহমান সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

তাতে তিনি উল্লেখ, তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে জামাতা মোতালেব শেখ। পরবর্তীতে, হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে গেছে।

ঘটনাচক্রে, একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর এলাকার নাউটানা কুমের কচুরিপানার ভেতর থেকে শনাক্তের অযোগ্য একটি অর্ধগলিত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সেই মরদেহ হাসি বেগমের বলে দাবি করে তার পরিবার। নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালমা বেগম মরদেহের কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি নখ ছোট থাকায় নিখোঁজ হাসি বেগমের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পর ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগম মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে বলে সে জীবিত এবং পাঁচ দিন পর বাড়ি ফিরে আসে।ভাঙ্গা থানার মানিকদাহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের ইয়াদ আলী বপারী দাবি করেন উক্ত মরদেহটি তার মেয়ে কল্পনা বেগম (২৬) এর।

যার প্রেক্ষীতে আদালতের নির্দেশে ম্যাজিট্রেট ও সদরপুর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে দীর্ঘ ১০ মাস পর কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয় এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য লাশটির বিভিন্ন অঙ্গের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ এ বিষয়ে বলেন, কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করেছি । সেখান থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি। ফরেনসিক বিভাগের তথ্য পাওয়ার পর জানা যাবে এই বেওয়ারিশ মরদেহটি ইয়াদ আলীর মেয়ের কিনা।

মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন-নির্বাহী ম্যাজিট্রেট দীপ্ত চক্রবর্তী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাঃ মোঃ ইউনূস আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ সাহেন শাহ, মানিকদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাচ্চু। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মৃত্যুর ৫ দিন পর বাড়ি ফিরলো তরুণী, ১০ মাস পর তোলা হলো মরদেহ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

ফরিদপুরে মৃত্যুর পাঁচদিন পর বাড়ি ফিরে এলো তরুণী, ১০ মাস পর কবর থেকে তোলা হল মরদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার শৌলডুবি গ্রামে।

জানাগেছে, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শশুর বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে সদরপুর আসার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর সেই থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।এ ঘটনার পর হাসির বাবা সেক হাবিবুর রহমান সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

তাতে তিনি উল্লেখ, তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে জামাতা মোতালেব শেখ। পরবর্তীতে, হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে গেছে।

ঘটনাচক্রে, একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার আদমপুর এলাকার নাউটানা কুমের কচুরিপানার ভেতর থেকে শনাক্তের অযোগ্য একটি অর্ধগলিত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সেই মরদেহ হাসি বেগমের বলে দাবি করে তার পরিবার। নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালমা বেগম মরদেহের কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি নখ ছোট থাকায় নিখোঁজ হাসি বেগমের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পর ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগম মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে বলে সে জীবিত এবং পাঁচ দিন পর বাড়ি ফিরে আসে।ভাঙ্গা থানার মানিকদাহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের ইয়াদ আলী বপারী দাবি করেন উক্ত মরদেহটি তার মেয়ে কল্পনা বেগম (২৬) এর।

যার প্রেক্ষীতে আদালতের নির্দেশে ম্যাজিট্রেট ও সদরপুর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে দীর্ঘ ১০ মাস পর কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয় এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য লাশটির বিভিন্ন অঙ্গের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ এ বিষয়ে বলেন, কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করেছি । সেখান থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি। ফরেনসিক বিভাগের তথ্য পাওয়ার পর জানা যাবে এই বেওয়ারিশ মরদেহটি ইয়াদ আলীর মেয়ের কিনা।

মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন-নির্বাহী ম্যাজিট্রেট দীপ্ত চক্রবর্তী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাঃ মোঃ ইউনূস আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ সাহেন শাহ, মানিকদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাচ্চু। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।