ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর পর কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

সুজন কুমার মন্ডল,জয়পুরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণেরর পর হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো-রনি মহন্ত (৩২) ও কামিনী জাহিদকে (৩৪)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আব্দুল মোক্তাদির এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৬ মে রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এসময় নিহতের পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিল না। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। ৭ মে রাতেই পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ৮ মে রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

রনি মহন্ত তার সহকর্মী জাহিদকে নিয়ে ৬ মে রাত ১টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির দেয়াল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সুযোগ বুঝে রাত ২ টার দিকে তারা ঘরে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ভিকটিমের পায়জামা খুলে বিবস্ত্র করে মুখ ও দুই হাত চেপে ধরে। প্রথমে রনি মহন্ত ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ভিকটিম চিৎকার করলে তার সন্ত্রম রক্ষার জন্য বাঁধা দেয় এবং রনির বুকে খামচিয়ে ধরে। তখন আসামিরা আয়েশার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে। এতে এক পর্যায়ে ভিকটিম বিছানায় নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে কামিনি জাহিদ মৃতদেহের উপর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

সাথে জড়িত গ্রেপ্তারকৃত দু’জন আদালতে জবানবন্দীতে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি মৃত্যুর পরও রেহাই পাননি পাষণ্ডদের হাত থেকে। ৮ মে রোববার রাতে জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামি রনি মহন্ত ও কামিনি জাহিদ জবানবন্দীতে তারা সত্যতা শিকার করে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক ও রায় দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের পিপি ফিরোজা চৌধুরী । আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মৃত্যুর পর কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণেরর পর হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো-রনি মহন্ত (৩২) ও কামিনী জাহিদকে (৩৪)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আব্দুল মোক্তাদির এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৬ মে রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এসময় নিহতের পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিল না। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। ৭ মে রাতেই পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ৮ মে রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

রনি মহন্ত তার সহকর্মী জাহিদকে নিয়ে ৬ মে রাত ১টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির দেয়াল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সুযোগ বুঝে রাত ২ টার দিকে তারা ঘরে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ভিকটিমের পায়জামা খুলে বিবস্ত্র করে মুখ ও দুই হাত চেপে ধরে। প্রথমে রনি মহন্ত ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ভিকটিম চিৎকার করলে তার সন্ত্রম রক্ষার জন্য বাঁধা দেয় এবং রনির বুকে খামচিয়ে ধরে। তখন আসামিরা আয়েশার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে। এতে এক পর্যায়ে ভিকটিম বিছানায় নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে কামিনি জাহিদ মৃতদেহের উপর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

সাথে জড়িত গ্রেপ্তারকৃত দু’জন আদালতে জবানবন্দীতে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি মৃত্যুর পরও রেহাই পাননি পাষণ্ডদের হাত থেকে। ৮ মে রোববার রাতে জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামি রনি মহন্ত ও কামিনি জাহিদ জবানবন্দীতে তারা সত্যতা শিকার করে লোম হর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক ও রায় দেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের পিপি ফিরোজা চৌধুরী । আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।