ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তবে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেনো? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরাও পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? সেটা আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছেও ।

রোববার( ১৪ জুলাই) গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন ।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, এখন যারা লাফাচ্ছে তারা ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ সম্পর্কেও বোধহয় জানে না । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কী ছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি, বোমাবাজি আর সেসনজট । ৫ বছর- ৭ বছর সেসনজট । কোন সেমিস্টার সিস্টেম ছিলো না ।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র কিভাবে চলবে সে নীতিমালা সংবিধানে দেয়া আছে । যেখানে সংবিধানে বলা আছে অনগ্রসর যারা, তাদের রাজ্যের কর্মের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে দেয়া হবে । তারা সংবিধানটা পড়ে দেখেছে কখনো? আর মুক্তিযুদ্ধে বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?

প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ৭৫ ’ র ১৫ আগস্টের পর জাতীর পিতাকে হত্যা করার পর কোনো মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারেনি সে মুক্তিযোদ্ধা । কারণ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মেরে জিয়াউর রহমান সাফ করে দিয়েছে । আবার কিছু কিছু প্যাকেট করে নিয়ে তাদের মাথায় খুব তেল দিয়েছে । কিন্তু আসলে তো মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা চেতনা সবকিছু মুছে ফেলে দিয়েছিলো । মনে হতো পাকিস্তানের আবার প্রদেশ হয়ে গেছি আমরা । দেশকে সে জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলো ।

মুক্তিযোদ্ধা নাতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব থেকে অবাক লাগলো মুক্তিযোদ্ধার নাতি সে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় । সেও বলে কোটা থাকবে না! তাহলে ব্যাটা তুই চলে আয়, পড়াশোনার দরকার নাই । ওকে তো ইউনিভার্সিটি থেকে বের করে দেয়া উচিত । কোটা নাই তোর পড়া নাই । যা বাড়ি গিয়ে বসে থাক । যদি লজ্জা থাকতো তাহলে ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়ে এসে বলতো কোটা থাকবে না ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তবে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেনো? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরাও পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? সেটা আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছেও ।

রোববার( ১৪ জুলাই) গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন ।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, এখন যারা লাফাচ্ছে তারা ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ সম্পর্কেও বোধহয় জানে না । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কী ছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি, বোমাবাজি আর সেসনজট । ৫ বছর- ৭ বছর সেসনজট । কোন সেমিস্টার সিস্টেম ছিলো না ।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র কিভাবে চলবে সে নীতিমালা সংবিধানে দেয়া আছে । যেখানে সংবিধানে বলা আছে অনগ্রসর যারা, তাদের রাজ্যের কর্মের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে দেয়া হবে । তারা সংবিধানটা পড়ে দেখেছে কখনো? আর মুক্তিযুদ্ধে বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?

প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ৭৫ ’ র ১৫ আগস্টের পর জাতীর পিতাকে হত্যা করার পর কোনো মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারেনি সে মুক্তিযোদ্ধা । কারণ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মেরে জিয়াউর রহমান সাফ করে দিয়েছে । আবার কিছু কিছু প্যাকেট করে নিয়ে তাদের মাথায় খুব তেল দিয়েছে । কিন্তু আসলে তো মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা চেতনা সবকিছু মুছে ফেলে দিয়েছিলো । মনে হতো পাকিস্তানের আবার প্রদেশ হয়ে গেছি আমরা । দেশকে সে জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলো ।

মুক্তিযোদ্ধা নাতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব থেকে অবাক লাগলো মুক্তিযোদ্ধার নাতি সে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় । সেও বলে কোটা থাকবে না! তাহলে ব্যাটা তুই চলে আয়, পড়াশোনার দরকার নাই । ওকে তো ইউনিভার্সিটি থেকে বের করে দেয়া উচিত । কোটা নাই তোর পড়া নাই । যা বাড়ি গিয়ে বসে থাক । যদি লজ্জা থাকতো তাহলে ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়ে এসে বলতো কোটা থাকবে না ।