মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হাজী ক্যাম্প মসজিদে আলোচনা সভা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৬ হিজরী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাদ মাগরিব চট্টগ্রাম পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালিন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজিকে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন সারা জগতের জন্য রহমত বানিয়ে পাঠিয়েছেন। সুতরাং রহমতের নবীর প্রতি উম্মতের সবচেয়ে বড় হক হলো তাকে মন ও মনন দিয়ে ভালোবাসা। তার প্রতি ভালোবাসা যেন আর সব ভালোবাসার ঊর্ধ্বে হয়। এমনকি জান ও প্রাণের চেয়ে যেন তিনি প্রিয় হন। ভালোবাসা যেন এমন তীব্র হয় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর জন্য হাজারবার জান কোরবান দিতে দ্বিধা না থাকে।
তিনি বলেন, নবীজিকে ভালোবাসা ঈমানের আলামত। খোদ আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তার কাছে আমি তার পিতামাতার চেয়ে, সন্তানাদির চেয়ে এবং সমস্ত মানুষের চেয়ে প্রিয় না হবো। মুমিনের জন্য ভালোবাসার মূল কেন্দ্র স্বয়ং আল্লাহ পাক, তারপর হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আর বাকি দুনিয়ার যতো প্রেমময় মানুষ আছে, যতরকমের ভালোলাগার জিনিস আছে সবকিছুর অবস্থান দ্বিতীয়তে। এই থেকে বোঝা যায় আল্লাহর রাসুলকে ভালোবাসা আমাদের প্রত্যেকের জন্য ওয়াজিব। কেননা দুনিয়াতে ভালোবাসার যতো কিছু আছে তার সবই তার কারণে প্রেমময়।
তিনি আরও বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ মেনে চলা যায় তাহলে আমাদের মানব জীবন পরিপূর্ণ হবে। সম্প্রতি ভারতীয় পুরোহিত কর্তৃক হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর কটুক্তি ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতে বিজেপি নেতার সমর্থনের প্রতিবাদে নিন্দা প্রকাশ করেন। একই সাথে এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানান।
এ সময় চট্টগ্রাম ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর ১১৫৩ তম দলের প্রশিক্ষণার্থী মাওলানা আব্দুর রউফ ‘বাংলা টাইমস’কে বলেন, ভারতে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ সবাই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননা করেই যাচ্ছে। এদের মতো দুঃসাহস মানব ইতিহাসে আগে কেউ কখনো দেখায় নি।
আব্দুর রউফ বলেন, আল্লাহ পাক ও উনার রাসুল (সাঃ) এর অবমাননা আমরা মুসলিম জাতি চুপ থাকতে পারিনা। প্রয়োজন হলে নিজেদের জীবন কুরবান করতে রাজি আছি। তুবও রাসুলের অবমাননা সহ্য করবোনা।
তিনি এক পর্যায়ে বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ করবো ভারতীয় কমিশনকে ডেকে এনে রাসূল (সাঃ) অবমাননাকর বক্তব্যের দায়ে ভারতের পুরোহিত রামগিরি ও মন্ত্রী নিতেশ রানের দ্রুত কঠোর বিচার দাবি জানান।