ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাংসের টুকরাগুলো এমপি আনারের বলে ধারণা, জানালেন ডিবি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হ্যতার ঘটনায় কলকাতায় গিয়ে তাদের তদন্তকাজ সফল হয়েছে। এ ঘটনায় তারা যেসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন, তা পেরেছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ এ কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল ৪টায় কলকাতা থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন পুলিশের এই কর্তা। এরপর সাংবাদিকদের তিনি কথা বলেন।

এ সময় হারুন অর রশীদ বলেন, আলামত উদ্ধার ও পারিপার্শ্বিক ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করায় আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। দুই দেশের গোয়েন্দাদের তথ্য সমন্বয় করে মামলার তদন্ত পরিচালনা করায় ফলপ্রসূ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আরেক অভিযুক্ত নেপালে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। শাহীনকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে ভারতকে অনুরোধ করেছি।

এদিকে, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বক্তব্য ও ঘটনা বিবেচনায় কলকাতায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো এমপির বলে মনে করছেন হারুন অর রশীদ।

তিনি আরও বলেন, কলকাতা পুলিশকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম সুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংক দেখার জন্য। সেখান থেকে কিন্তু ভিকটিমের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করি, স্বাভাবিকভাবে ফ্লাশের মাধ্যমে মাংসগুলো সেখানে যায়নি। তাই আমরা মনে করছি, মরদেহের অংশগুলো এমপি আনারের। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাংসের টুকরাগুলো এমপি আনারের বলে ধারণা, জানালেন ডিবি প্রধান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হ্যতার ঘটনায় কলকাতায় গিয়ে তাদের তদন্তকাজ সফল হয়েছে। এ ঘটনায় তারা যেসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন, তা পেরেছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ এ কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল ৪টায় কলকাতা থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন পুলিশের এই কর্তা। এরপর সাংবাদিকদের তিনি কথা বলেন।

এ সময় হারুন অর রশীদ বলেন, আলামত উদ্ধার ও পারিপার্শ্বিক ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করায় আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। দুই দেশের গোয়েন্দাদের তথ্য সমন্বয় করে মামলার তদন্ত পরিচালনা করায় ফলপ্রসূ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আরেক অভিযুক্ত নেপালে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। শাহীনকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে ভারতকে অনুরোধ করেছি।

এদিকে, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বক্তব্য ও ঘটনা বিবেচনায় কলকাতায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো এমপির বলে মনে করছেন হারুন অর রশীদ।

তিনি আরও বলেন, কলকাতা পুলিশকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম সুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংক দেখার জন্য। সেখান থেকে কিন্তু ভিকটিমের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করি, স্বাভাবিকভাবে ফ্লাশের মাধ্যমে মাংসগুলো সেখানে যায়নি। তাই আমরা মনে করছি, মরদেহের অংশগুলো এমপি আনারের। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।