ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ১২২ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে ফের ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। যদিও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সিলেটে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) সুরমা ও কুশিয়ার নদীর পানি ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে মানুষ। পানি কমার সাথে-সাথে ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত।
সিলেট নগরীসহ অনেক জায়গায় পানি কমে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেই সাথে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হচ্ছে প্লাবিত এলাকায়।
জানা গেছে, গত দু’দিন বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছিলো। তবে তা অনেকটা ধীর গতিতে।
সিলেট পাউবো জানিয়েছে, পানি ধীরগতিতে নামায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি চারটি পয়েন্টে সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছিলো। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছিলো। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। আবার কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, বৃষ্টিতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার পানি বেড়েছে। তবে সুরমা নদীর অববাহিকায় পানি কমেছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সার্বিক বিষয়ে বলেন, হাওরসহ সিলেটের নিচু এলাকা এখনো পানিতে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও মনু নদের পানি সিলেটের কুশিয়ারা নদীতে যুক্ত হচ্ছে। তাই নদীর পানি নামছে ধীরগতিতে। সোমবার (২৪ জুন) রাত ২টার পর বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় পানি বেড়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা জানা যায়, ২৮ জুন থেকে সিলেটে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আবারো অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আগাম সতর্ক থাকতে বলেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানিয়েছেন, এখনো জেলায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এরমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে সোমবার (২৪ জুন) রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গল (২৫ জুন) ও বুধবার স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আর বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।