ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগাম কোনো সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়েই ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত অমানবিক আচরণ করেছে। এর সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণকে কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা যায়, সেই বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করছে।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন যাতে না রাখা হয় এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে যাতে বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রতিস্থাপন করা হয়।

অন্যদিকে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত কোনো বাঁধের মুখ খুলে দেয়নি। অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধের গেটগুলো অটোমেটিক খুলে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাস্তবে এটি সঠিক নয়। কয়েকদিন ধরে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদী সংলগ্ন অঞ্চলে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডুম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে বেশ দূরে- বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার বাঁধ। যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভারতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীপথে আমাদের অমরপুর, সোনামুড়া এবং সোনামুরা ২-এ তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। গত ২১ আগস্ট থেকে সমগ্র ত্রিপুরা এবং পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের জেলাগুলোতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে বাঁধে স্বয়ংক্রিয় ‘রিলিজ’ পরিলক্ষিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই দেশে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে। তাই নদীগুলোর পানি সহযোগিতা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে আমরা পানিসম্পদ এবং নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগাম কোনো সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়েই ভারত বাঁধ খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত অমানবিক আচরণ করেছে। এর সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণকে কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা যায়, সেই বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করছে।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন যাতে না রাখা হয় এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে যাতে বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রতিস্থাপন করা হয়।

অন্যদিকে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারত কোনো বাঁধের মুখ খুলে দেয়নি। অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধের গেটগুলো অটোমেটিক খুলে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাস্তবে এটি সঠিক নয়। কয়েকদিন ধরে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদী সংলগ্ন অঞ্চলে এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডুম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে বেশ দূরে- বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে অবস্থিত। এটি একটি কম উচ্চতার বাঁধ। যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভারতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীপথে আমাদের অমরপুর, সোনামুড়া এবং সোনামুরা ২-এ তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। গত ২১ আগস্ট থেকে সমগ্র ত্রিপুরা এবং পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের জেলাগুলোতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে বাঁধে স্বয়ংক্রিয় ‘রিলিজ’ পরিলক্ষিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই দেশে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে। তাই নদীগুলোর পানি সহযোগিতা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে আমরা পানিসম্পদ এবং নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।