ভারতে থাকার সময় ফুরিয়ে আসছে শেখ হাসিনার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে
গণ আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট (সোমবার) পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। এরমধ্যে তিনি ভারতে ৩ সপ্তাহ কাটিয়েছেন। তারমধ্যে শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সবার কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, তাই নিয়ম অনুযায়ী তার ভারতে থাকারও সময় ফুরিয়ে আসছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশ থেকে পালিয়ে যান তখন তার কাছে শুধু লাল পাসপোর্টটি ছিলো। সাধারণ সবুজ পাসপোর্ট ছিলো না।
ভারতের ভিসা নীতি অনুযায়ী, যেসব বাংলাদেশির কাছে কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট রয়েছে তারা ভিসা ছাড়াই ভারতে প্রবেশ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত শেখ হাসিনা ২০ দিন ভারতে কাটিয়েছেন। এর ফলে আর মাত্র ২৫ দিন পর বৈধ উপায়ে তার ভারতে থাকার সময় শেষ হয়ে যাবে। এরপর তিনি হয়ে যাবেন অবৈধ।
কূটনীতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনার ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়টি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে পড়বে। ২০১৬ সালে চুক্তিটি সংশোধন করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এ চুক্তিতে হত্যা মামলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে।
এছাড়া যদি মামলা ‘ন্যায়বিচার না করার উদ্দেশ্যে করা হয়’ তাহলে দু’দেশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ না করার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানাতে পারে।