ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনন্দবাজার এর প্রতিবেদন

ভারতে আশ্রয় বাংলাদেশের প্রভাবশালীদের: পুলিশের নজর এড়াতে মাসে খরচ ১০ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেহেরপুরের কাশারীবাজার থেকে এক এমপির ফোন আসে সীমান্তবর্তী কাথুলিবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে। দেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। তাই এই অবস্থায় স্ত্রী এবং ৪ সন্তানকে নিয়ে কিছুদিনের জন্য হলেও ভারতে ‘নিরাপদ আশ্রয়’ চান তিনি। ফোনের কিছুক্ষণ পর কাথুলিবাজার থেকে ফোন আসে ভারতের নদিয়ার করিমপুর-২ ব্লকের রাউতবাটি গ্রামে। মিনিট পাঁচেকের কথোপকথন। যিনি আশ্রয় চাইছেন, তার ‘প্রোফাইল’, রাজনৈতিক ঝুঁকি, আর্থিক সঙ্গতি ইত্যাদি সংক্ষেপে জেনে নিয়ে চূড়ান্ত হয় রফাদফা।

ফোনে জানিয়ে দেয়া হলো ভারতে যেতে এমপির পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু খরচ পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় এক লাখ টাকা। এছাড়া যতো দিন ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ থাকবেন, ততোদিন বিএসএফ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকার জন্য দিতে হবে মাসিক ১০ লাখ টাকা। খানিক দর কষাকষির পরে ঠিক হয় সীমান্ত পার করাতে দিতে হবে এক লাখ নয়, মাথাপিছু ৭০ হাজার টাকা। আর আশ্রয়ের জন্য মাসিক ৫ লাখ। তাতেই রাজি হয়ে গেলেন ওই এমপি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলা থেকে পরিবারকে নিয়ে রওনা দেন ওই এমপি। দেশের গ্রামে একদিন অপেক্ষার পর গাঁটের টাকা-পয়সা দিয়ে কাথুলি এবং কুলবেড়িয়া হয়ে ‘ফেন্সিংহীন’ বাংলার একটি গ্রামে পৌঁছে গেছেন ওই এমপি ও তার পরিবার। বাংলাদেশের মইনুদ্দিন (নাম পরিবর্তিত) এবং পশ্চিমবঙ্গের দেবাংশু (নাম পরিবর্তিত) মিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘অপারেশন’ সফল করেন।

দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এভাবেই নাকি ভারতে যাচ্ছেন দেশের অনেক ‘প্রভাবশালীরা’। তাদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে কাজ করছে একাধিক চক্র। কেউ নিচ্ছে মাথাপিছু লাখ টাকা। কেউ ৫০ হাজার। বস্তুত, এই চক্র নিয়ে অবহিত বিএসএফ-ও। এরমধ্যে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে তারা। চলছে আরো সুলুকসন্ধান।

দেশে চলমান অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগে তৈরি হয়েছে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরোনোর নতুন ‘সিন্ডিকেট’। পারাপার এবং আশ্রয়ের জন্য কেউ খরচ করছেন দুই হাজার টাকা (তারা বেশি দিন থাকছেন না), কাউকে দিতে হচ্ছে দুই লাখ টাকা (বেশি দিন থাকার জন্য)।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আর্থিক সঙ্গতি এবং সামাজিক পরিচিতি বুঝেই টাকা চাওয়া এবং নেয়া হচ্ছে। কাথুলিবাজার এলাকায় ব্যবসা করেন শেখ নাজিম (নাম পরিবর্তিত)। তার ভাষ্যমতে, আমরা এসব এলাকা হাতের তালুর মতো চিনি। কোথায় কাঁটাতার রয়েছে, কোথায় নেই, এসব মুখস্থ। কোথায় পাচারকারী কাঁটাতার কেটে রেখেছে, সেটাও জানি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই বর্ষায় ভৈরব নদী টইটম্বুর। নদী পুরো খোলা। এ দেশ থেকে যারা ভারতে যেতে চাইছে, পরিচিত আর আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ রেখে শুধু সীমান্ত পার করিয়ে দিচ্ছি আমরা। বাকি দায়িত্ব ওদের।

পারাপার করাতে কে কত নিচ্ছেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ীর সরল স্বীকারোক্তি, এতে ঝুঁকি দুই পক্ষেরই রয়েছে। তাই টাকার ভাগাভাগিও সমান সমান।

ভারতের দেবাংশু বললেন, কাঁটাতার পার হলেই আমাদের চাষের জমি রয়েছে। রোজ যাতায়াত করি। ওদিক থেকে বেশ কয়েকজন পরিচিত, আত্মীয়স্বজনেরা ভারতে আসার জন্য মোটা টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেঅ। আমরা শুধু পার করে এখানে নিয়ে এসেছি। রাখার দায়িত্ব আমাদের নয়। সেটার দায়িত্ব অন্যের।

বিএসএফ, পুলিশের নজর এড়াচ্ছেন কীভাবে এর উত্তলে দেবাংশুর বললেন, বিএসএফ এখন খুব সজাগ। তবে গ্রামে আমাদের সবার সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই কাউকে আশ্রয় দিয়েছি জানলে কেউ মুখ খুলবে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের ‘ঘনিষ্ঠ’ বা দলে সমর্থকরা এখন বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের নজরে। হাসিনার আমলের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী -এমপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় লুক-আউট নোটিশ দিয়েছে প্রশাসন। রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়, এমন মানুষজনের ক্ষেত্রেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশ ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। তারপরও অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই যেকোনো ভাবে দেশ ছেড়ে আপাতত ভারতে ঠাঁই নিতে চাইছেন। সেখান থেকেই এই ‘দালাল নির্ভরতা’।

তবে ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে ‘হঠাৎ অতিথিদের’ নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয়রা। যদিও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। ‘নতুন পন্থায়’ অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-ও উদ্বিগ্ন। সিন্ডিকেট চক্রের উপস্থিতি টের পেয়ে টহলদারি বেড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়।

বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় টহল কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সাথে জনসংযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনুপ্রবেশের সব রকম খবর রাখার চেষ্টায় বিএসএফ। বেশ কয়েকটি অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকেও দিয়েছেন জওয়ানেরা। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে সীমান্ত এলাকায় এই মুহূর্তে কোনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর নেই।

এদিকে, অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) কতোটা সক্রিয়? বিজিবির মহা-উপ পরিচালক (যোগাযোগ) কর্নেল শফিউল আলম পারভেজ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, যারা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেআইনি এবং অন্যায় কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। বাংলাদেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ও দেশে যাতে কোনোভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় না পায়, এজন্য আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ জানাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আনন্দবাজার এর প্রতিবেদন

ভারতে আশ্রয় বাংলাদেশের প্রভাবশালীদের: পুলিশের নজর এড়াতে মাসে খরচ ১০ লাখ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

মেহেরপুরের কাশারীবাজার থেকে এক এমপির ফোন আসে সীমান্তবর্তী কাথুলিবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে। দেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। তাই এই অবস্থায় স্ত্রী এবং ৪ সন্তানকে নিয়ে কিছুদিনের জন্য হলেও ভারতে ‘নিরাপদ আশ্রয়’ চান তিনি। ফোনের কিছুক্ষণ পর কাথুলিবাজার থেকে ফোন আসে ভারতের নদিয়ার করিমপুর-২ ব্লকের রাউতবাটি গ্রামে। মিনিট পাঁচেকের কথোপকথন। যিনি আশ্রয় চাইছেন, তার ‘প্রোফাইল’, রাজনৈতিক ঝুঁকি, আর্থিক সঙ্গতি ইত্যাদি সংক্ষেপে জেনে নিয়ে চূড়ান্ত হয় রফাদফা।

ফোনে জানিয়ে দেয়া হলো ভারতে যেতে এমপির পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু খরচ পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় এক লাখ টাকা। এছাড়া যতো দিন ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ থাকবেন, ততোদিন বিএসএফ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকার জন্য দিতে হবে মাসিক ১০ লাখ টাকা। খানিক দর কষাকষির পরে ঠিক হয় সীমান্ত পার করাতে দিতে হবে এক লাখ নয়, মাথাপিছু ৭০ হাজার টাকা। আর আশ্রয়ের জন্য মাসিক ৫ লাখ। তাতেই রাজি হয়ে গেলেন ওই এমপি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলা থেকে পরিবারকে নিয়ে রওনা দেন ওই এমপি। দেশের গ্রামে একদিন অপেক্ষার পর গাঁটের টাকা-পয়সা দিয়ে কাথুলি এবং কুলবেড়িয়া হয়ে ‘ফেন্সিংহীন’ বাংলার একটি গ্রামে পৌঁছে গেছেন ওই এমপি ও তার পরিবার। বাংলাদেশের মইনুদ্দিন (নাম পরিবর্তিত) এবং পশ্চিমবঙ্গের দেবাংশু (নাম পরিবর্তিত) মিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘অপারেশন’ সফল করেন।

দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এভাবেই নাকি ভারতে যাচ্ছেন দেশের অনেক ‘প্রভাবশালীরা’। তাদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে কাজ করছে একাধিক চক্র। কেউ নিচ্ছে মাথাপিছু লাখ টাকা। কেউ ৫০ হাজার। বস্তুত, এই চক্র নিয়ে অবহিত বিএসএফ-ও। এরমধ্যে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে তারা। চলছে আরো সুলুকসন্ধান।

দেশে চলমান অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগে তৈরি হয়েছে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরোনোর নতুন ‘সিন্ডিকেট’। পারাপার এবং আশ্রয়ের জন্য কেউ খরচ করছেন দুই হাজার টাকা (তারা বেশি দিন থাকছেন না), কাউকে দিতে হচ্ছে দুই লাখ টাকা (বেশি দিন থাকার জন্য)।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আর্থিক সঙ্গতি এবং সামাজিক পরিচিতি বুঝেই টাকা চাওয়া এবং নেয়া হচ্ছে। কাথুলিবাজার এলাকায় ব্যবসা করেন শেখ নাজিম (নাম পরিবর্তিত)। তার ভাষ্যমতে, আমরা এসব এলাকা হাতের তালুর মতো চিনি। কোথায় কাঁটাতার রয়েছে, কোথায় নেই, এসব মুখস্থ। কোথায় পাচারকারী কাঁটাতার কেটে রেখেছে, সেটাও জানি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই বর্ষায় ভৈরব নদী টইটম্বুর। নদী পুরো খোলা। এ দেশ থেকে যারা ভারতে যেতে চাইছে, পরিচিত আর আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ রেখে শুধু সীমান্ত পার করিয়ে দিচ্ছি আমরা। বাকি দায়িত্ব ওদের।

পারাপার করাতে কে কত নিচ্ছেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ীর সরল স্বীকারোক্তি, এতে ঝুঁকি দুই পক্ষেরই রয়েছে। তাই টাকার ভাগাভাগিও সমান সমান।

ভারতের দেবাংশু বললেন, কাঁটাতার পার হলেই আমাদের চাষের জমি রয়েছে। রোজ যাতায়াত করি। ওদিক থেকে বেশ কয়েকজন পরিচিত, আত্মীয়স্বজনেরা ভারতে আসার জন্য মোটা টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেঅ। আমরা শুধু পার করে এখানে নিয়ে এসেছি। রাখার দায়িত্ব আমাদের নয়। সেটার দায়িত্ব অন্যের।

বিএসএফ, পুলিশের নজর এড়াচ্ছেন কীভাবে এর উত্তলে দেবাংশুর বললেন, বিএসএফ এখন খুব সজাগ। তবে গ্রামে আমাদের সবার সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই কাউকে আশ্রয় দিয়েছি জানলে কেউ মুখ খুলবে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের ‘ঘনিষ্ঠ’ বা দলে সমর্থকরা এখন বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের নজরে। হাসিনার আমলের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী -এমপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় লুক-আউট নোটিশ দিয়েছে প্রশাসন। রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়, এমন মানুষজনের ক্ষেত্রেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশ ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। তারপরও অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই যেকোনো ভাবে দেশ ছেড়ে আপাতত ভারতে ঠাঁই নিতে চাইছেন। সেখান থেকেই এই ‘দালাল নির্ভরতা’।

তবে ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে ‘হঠাৎ অতিথিদের’ নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয়রা। যদিও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। ‘নতুন পন্থায়’ অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-ও উদ্বিগ্ন। সিন্ডিকেট চক্রের উপস্থিতি টের পেয়ে টহলদারি বেড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়।

বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় টহল কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সাথে জনসংযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনুপ্রবেশের সব রকম খবর রাখার চেষ্টায় বিএসএফ। বেশ কয়েকটি অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকেও দিয়েছেন জওয়ানেরা। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে সীমান্ত এলাকায় এই মুহূর্তে কোনও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর নেই।

এদিকে, অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) কতোটা সক্রিয়? বিজিবির মহা-উপ পরিচালক (যোগাযোগ) কর্নেল শফিউল আলম পারভেজ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, যারা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেআইনি এবং অন্যায় কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। বাংলাদেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ও দেশে যাতে কোনোভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় না পায়, এজন্য আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ জানাব।