পড়ালেখার পাশাপাশি তৈরী করেন কালাই জিলাপি
বড় উদ্যোক্তা হতে চান হাফিজ ও নাফিজ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর কালাই রুটির কদর দেশজুড়েই রয়েছে। কিন্তু কালাই জিলাপির নাম হয়তো দেশ জুড়ে এখনো জানা নেই। তাই কালাই রুটির পর এবার রাজশাহীর কালাই জিলাপির সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে। রাজশাহী নগরীর কোর্ট বাজার থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে পবার নবগঙ্গা মোড় এই কালাই জিলাপি তৈরী হয়। কালাই জিলাপির কারণে এই মোড়ের নাম হয়েছে কালাই জিলাপি মোড়।
দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে এই মোড়ে ফুটপাতে কালাই জিলাপি তৈরি করে চলেছেন মো. জাইদুর রহমান। এখন তার কালাই জিলাপি তৈরীর হাল ধরেছেন দুই ছেলে হাফিজ ও নাফিস।
হাফিজ রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইলেকট্রনিক্স বিভাগে অধ্যয়ন করছেন। আর নাফিস পড়েন রাজশাহী কাশিয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে। যে বয়সে তাদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও আড্ডায় মেতে থাকার কথা। কিন্তু তা না করে ধরেছেন পরিবারে হাল। জীবনে স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে উদ্যোক্তা হবেন। অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তাই বাবার স্বল্পপুঁজির এই ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। প্রতিদিন স্কুল ও কলেজ শেষে বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় তাদের এই কর্মযজ্ঞ।
প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। বর্তমানে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। দুরদূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন কালাই জিলাপি খেতে নবগঙ্গা মোড়ে। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়। তা দিয়ে পড়ালেখা ও সংসার চলে এই পরিবারের। পুঁজি স্বলপতার কারণে ব্যবসা বড় করতে পারছেন না তারা।
কালাই জিলাপি তৈরী করা হয় মাসকালাই এর আটা, চাউলের আটা, গমের আটা, চিনি ও তিল দিয়ে। এরপর তেলে ভেজে তৈরী হয় পূর্ণাঙ্গ কালাই জিলাপি। যা অত্যন্ত মচমচে ও খুব সুস্বাদু। বাজারে প্রচলিত জিলাপির চেয়ে এই জিলাপি অনেক স্বাদের। ১ কেজি কালাই এর আটা এবং অন্যান্য আটা মিশিয়ে ৫ কেজি জিলাপি তৈরি হয়। ২০০ টাকা কেজি এই কালাই জিলাপি। দুর থেকে লোক আসে এই জিলাপি খেতে।
রাজশাহী নগরীর কোর্ট বাজার থেকে ৩ কি.মি পশ্চিম দিকে নবগঙ্গা মোড় এই কালাই জিলাপির দোকান। কালাই জিলাপির কারণে এই মোড়ের নাম হয়েছে কালাই জিলাপি মোড়। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এই মোড়ে ফুটপাতে কালাই জিলাপি তৈরি করেন মো. জাইদুর রহমান। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। ছেলেরা স্কুলগামী হওয়ার পর থেকে তারা বাবা কে এই জিলাপি তৈরির কাজে সহযোগিতা করেন।
বড় ছেলের নাম হাফিজ, ছোট ছেলের নাম নাফিজ। হাফিজ ও নাফিজই এই এই কালাই জিলাপি তৈরি করেন। তাদের কাজে সহযোগিতা করেন দাদা নুরুল হক। তারাই এখন প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই জিলাপি তৈরি করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এই জিলাপি খেতে ও ক্রয় করতে আসেন। তাদের বাবা বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি এই কাজে তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে সংসার চালান।
প্রতিদিন ১২ থেকে ২০ কেজি কালাই জিলাপি বিক্রি হয়। ছুটির দিনগুলোতে বেশি বিক্রি হয়। জনগণের মাঝে এখন ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে রাজশাহীর এই কালাই জিলাপির কদর।