ব্যবসায়ীকে কোপানোয় গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা, ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে (৩৫) ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করেছে তার অনুসারীরা। হামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার তারিক লতিফসহ (এসি) পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে, আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দুইজনকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার বাকি পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তার আগে বৃহস্পতিবার শেষ রাতে সহকারী কমিশনার তারিক লতিফের নেতৃত্ব অভিযান চালিয়ে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়ক এলাকা থেকে মোহাম্মদ হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা-পুলিশ। পরে শুক্রবার সকালে আসামিকে নিয়ে নিউমার্কেট থানায় প্রবেশের সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি রাতে এলিফ্যান্ট রোডের বিপণিবিতান মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে ওই বিপণিবিতানের ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে কুপিয়ে জখম করা হয়। এহতেশাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাকে যখন কোপানো হয়, তখন আরেক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল হাসানের (দিপু) গাড়িতে হামলা হয়। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন রিমান্ডে জানিয়েছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হাসান ওরফে ইমনের হয়ে ধানমন্ডি এলাকার চাঁদা তোলার কাজ করেন মোহাম্মদ হোসাইন। ব্যবসায়ীকে কোপানোর সময় তাকে (রিমান্ডে থাকা আসামি) ঘটনাস্থলে যেতে বলেছিলেন ওই ছাত্রদল নেতা। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ হোসাইন গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বশির ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ হাসান (২১), মোহাম্মদ ইমন (২৫), মাসুম মাহমুদ (৩২), মোহাম্মদ আলামিন (৩০) ও আকবর আলী (২১)। এ ছাড়া ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
মোহাম্মদ হোসাইনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে তাঁকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি নিউমার্কেট থানায় প্রবেশকালে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গাড়িটির গতিরোধ করেন আসামিরা। পরে মোহাম্মদ হোসাইনের অনুসারীরা লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে নিউমার্কেট জোনের এসি তারিক লতিফ, উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আরব আলী, এসআই ফিরোজ আহমেদ ও খন্দকার মেসবাহ এবং বার্তা অপারেটর মো. আনোয়ার গুরুতর আহত হন।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ হোসাইনসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত ব্যবসায়ীকে কোপানোর মামলায় মোহাম্মদ হোসাইনকে এক দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বশির ইসলামকেও এক দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।