ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগে পাওয়া গেলো দুই কোটি টাকার সোনা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে দুই কেজি দুইশ ২৮ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে। এ সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. শফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে কাস্টম স্ক্যানিংয়ের সময় তাদের তল্লাশি চালিয়ে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা আল আমিন প্রধান জানান, শনিবার ভোরে শারজাহ থেকে আসা একটি ফ্লাইটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছান মো. শফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মোরশেদ। এয়ারপোর্টে স্ক্যানিংয়ের সময় তাদের ব্যাগের ভেতর লুকানো অবস্থায় স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। জব্দ স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তালা ও ব্যাটারিতে অভিনব পদ্ধতিতে লুকানো অবস্থায় থাকা দেড় কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটের এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে ওইদিন ১ হাজার ৬১৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট এখন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর। চার বছরে জব্দ হয়েছে ১৭১ কেজিরও বেশি স্বর্ণ। অথচ এই চোরাচালান ঠেকাতে সমন্বয় নেই কাস্টমস এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। উল্টো নিজেদের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পরস্পরের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছে দু’পক্ষ।

চট্টগ্রামের প্রবাসীদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। অভিযোগ আছে, চোরাই পণ্যের বাহক হিসেবে এদের বেশি ব্যবহার করা হয়। ফলে স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর।

কাস্টমসের হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৭৮ কেজি স্বর্ণ ধরা পড়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ধরা পড়ে সাড়ে ৩৭ কেজি। ৪ বছরে উদ্ধার হয়েছে ১৭১ কেজির বেশি।

অর্থবছর উদ্ধারকৃত স্বর্ণ আনুমানিক মূল্য

২০১৯-২০ ৩৬ কেজি ২০ কোটি টাকা
২০২০-২১ ৭৮ কেজি ৪১ কোটি টাকা
২০২১-২২ ২০ কেজি ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা
২০২২-২৩ ৩৭.৫ কেজি ৩৩ কোটি টাকা

অবৈধ স্বর্ণ বহনে যাত্রীর পাশাপাশি বিমানবন্দরে কর্মরতরাও জড়িত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগে পাওয়া গেলো দুই কোটি টাকার সোনা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে দুই কেজি দুইশ ২৮ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে। এ সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. শফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।

শনিবার (২ মার্চ) সকালে কাস্টম স্ক্যানিংয়ের সময় তাদের তল্লাশি চালিয়ে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা আল আমিন প্রধান জানান, শনিবার ভোরে শারজাহ থেকে আসা একটি ফ্লাইটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছান মো. শফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মোরশেদ। এয়ারপোর্টে স্ক্যানিংয়ের সময় তাদের ব্যাগের ভেতর লুকানো অবস্থায় স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। জব্দ স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তালা ও ব্যাটারিতে অভিনব পদ্ধতিতে লুকানো অবস্থায় থাকা দেড় কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটের এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে ওইদিন ১ হাজার ৬১৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট এখন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর। চার বছরে জব্দ হয়েছে ১৭১ কেজিরও বেশি স্বর্ণ। অথচ এই চোরাচালান ঠেকাতে সমন্বয় নেই কাস্টমস এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। উল্টো নিজেদের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পরস্পরের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছে দু’পক্ষ।

চট্টগ্রামের প্রবাসীদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। অভিযোগ আছে, চোরাই পণ্যের বাহক হিসেবে এদের বেশি ব্যবহার করা হয়। ফলে স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর।

কাস্টমসের হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৭৮ কেজি স্বর্ণ ধরা পড়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ধরা পড়ে সাড়ে ৩৭ কেজি। ৪ বছরে উদ্ধার হয়েছে ১৭১ কেজির বেশি।

অর্থবছর উদ্ধারকৃত স্বর্ণ আনুমানিক মূল্য

২০১৯-২০ ৩৬ কেজি ২০ কোটি টাকা
২০২০-২১ ৭৮ কেজি ৪১ কোটি টাকা
২০২১-২২ ২০ কেজি ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা
২০২২-২৩ ৩৭.৫ কেজি ৩৩ কোটি টাকা

অবৈধ স্বর্ণ বহনে যাত্রীর পাশাপাশি বিমানবন্দরে কর্মরতরাও জড়িত।