বানভাসিদের দুর্ভোগ চরমে , খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি এখনো উন্নতি হয়নি। পানিবন্দি অন্তত সাত হাজার পরিবার। পানিবন্দি মানুষষের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় চলাচলের ভোগান্তি বেড়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, পানিবন্দি মানুষগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া হবে।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়া,গোবরধন, বারোঘরিয়া, সদর উপজেলার কালমাটি এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িঘরে পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে রান্না, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। এছাড়া পানিবন্দী নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, বাদাম, কৃষকের ধান, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটির বাসিন্দা শফিয়ার রহমান বলেন, গত ৪ দিন ধরে নদীর পানি বেড়েছে। খাবার পানিও সংগ্রহ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
একই এলাকার বাসিন্দা বদিউজ্জামান জানান, চরের জমিতে চাষ করা বাদাম এখনো ঘরে তোলা হয়নি। পানির স্থায়িত্ব আর একদিন থাকলে বাদাম গুলো পচে যাবে।
সদর উপজেলার পাকারমাথার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী,চর ও গ্রামে পানি থাকায় গরু ছাগল রাস্তায় রেখেছে। নিজেদের খাবারের কষ্ট তো আছে গরু ছাগলের জন্যও খাবার মেলানো যাচ্ছে না।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১.৬৮ মিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ৪৭ সেন্টিমিটার নিচে। তবে তিস্তার রেলসেতু পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯.৩০ মিটার যা বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তাসহ লালমনিরহাটের সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ব্যরাজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।