বাজেটে সাঁওতালদের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় বাজেটে সাঁওতালদের ভাষা, ধর্ম, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে বাংলাদেশ সৗরিধরম গাঁওতা (সারিধর্ম সংগঠন) নামের সাঁওতালদের সংগঠন উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সৗরিধরম গাঁওতার (সারিধর্ম সংগঠন) সভাপতি চুন্নু টুডু।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুবাস মুর্মুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নরেশ হেম্ব্রম।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ সুনিল হাঁসদা, সদস্য নির্মল মার্ডী, মনিরাজ হেম্ব্রম, রবীন মুর্মু, রাজেন মার্ডী প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতা সহকারী অধ্যাপক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক আজিজুল হক সরকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি চন্দ্রনাথ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালের কন্ঠ প্রতিনিধি আনোয়ার সাদাত মন্ডল, দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি প্রভাষক রীতা রানী কানু, সাংবাদিক সম্পাদক প্লাবন শুভ, মাইটিভি প্রতিনিধি ফিজারুল ইসলাম ভুট্টু, দৈনিক আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি রজব আলী, দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, দৈনিক দেশ বর্তমান প্রতিনিধি কংকনা রায় প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সাঁওতাল নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৯ সালে সরকারিভাবে প্রকাশিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গেজেটে সাঁওতালসহ ৫০ টি জাতিসত্ত্বা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গেজেটে অন্তর্ভুক্ত ৫০ টি জাতিসত্ত্বার প্রত্যেকটির জাতিসত্ত্বা, নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি বিদ্যমান। সাঁওতাল জাতিরও নিজস্ব ভাষা, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতি রয়েছে। অন্যান্য জাতি ধর্মের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্ম পালনের জন্য সরকারিভাবে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও সাঁওতালদের ধর্ম পালনে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয় না। রাষ্ট্রীয় এই বৈষ্যম দূর করতে হবে। সাঁওতালদের নিজস্ব ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের আগ্রাসনে সাঁওতালদের অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে।