ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বসুন্ধরার এমডি আনভীরকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ষড়যন্ত্রমূলক আবারও দেশের বৃহত্তর শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে ফাঁসাতে উঠপড়ে লেগেছে নুসরাত জাহান তানিয়া। নতুন করে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্যতম অপরাধের সাথে দেশের স্বনামধন্য বৃহৎ শিল্পপরিবারের সদস্যদের নাম জড়িয়ে তাদের হেয় প্রতিপন্ন এবং মূলত ব্ল্যাকমেইল করাই নুসরাত জাহান তানিয়ার প্রধান ব্যবসা। যার প্রমাণ, অভিযোগে বাবা, মা, সন্তান ও পুত্রবধূকে আসামি করার ঘটনায় স্পষ্টত বোঝা যায়, অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যে ঘটনার সাথে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তাদের পরিবারের কারোরই কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, ব্যক্তিগত হিংসা, আক্রোশ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছিলো। জানা গেছে, মামলায় নুসরাতের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলো।

এদিকে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারে বাধা প্রয়োগ করেন বলে দাবি নুসরাত তানিয়ার।

বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলা করলেও সব তথ্য-প্রমাণ থাকার পরেও প্রধান অভিযুক্ত আনভীরের নাম এজাহার থেকে বাদ দিয়ে পুলিশ অসত্য প্রতিবেদন তৈরি করেছিলো বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মামলা পুনঃতদন্তেরও দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়া একাই থাকতেন। মৃত মুনিয়া কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজিরদিঘি এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের মেয়ে।

এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ‘আত্মহত্যা’ প্ররোচনার অভিযোগ এনে দেশের অন্যতম ব্যবসায়িক গ্রুপ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইই মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বসুন্ধরার এমডি আনভীরকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

ষড়যন্ত্রমূলক আবারও দেশের বৃহত্তর শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে ফাঁসাতে উঠপড়ে লেগেছে নুসরাত জাহান তানিয়া। নতুন করে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্যতম অপরাধের সাথে দেশের স্বনামধন্য বৃহৎ শিল্পপরিবারের সদস্যদের নাম জড়িয়ে তাদের হেয় প্রতিপন্ন এবং মূলত ব্ল্যাকমেইল করাই নুসরাত জাহান তানিয়ার প্রধান ব্যবসা। যার প্রমাণ, অভিযোগে বাবা, মা, সন্তান ও পুত্রবধূকে আসামি করার ঘটনায় স্পষ্টত বোঝা যায়, অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যে ঘটনার সাথে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তাদের পরিবারের কারোরই কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, ব্যক্তিগত হিংসা, আক্রোশ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছিলো। জানা গেছে, মামলায় নুসরাতের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলো।

এদিকে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারে বাধা প্রয়োগ করেন বলে দাবি নুসরাত তানিয়ার।

বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলা করলেও সব তথ্য-প্রমাণ থাকার পরেও প্রধান অভিযুক্ত আনভীরের নাম এজাহার থেকে বাদ দিয়ে পুলিশ অসত্য প্রতিবেদন তৈরি করেছিলো বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মামলা পুনঃতদন্তেরও দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়া একাই থাকতেন। মৃত মুনিয়া কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজিরদিঘি এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের মেয়ে।

এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ‘আত্মহত্যা’ প্ররোচনার অভিযোগ এনে দেশের অন্যতম ব্যবসায়িক গ্রুপ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইই মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।