ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় হাসপাতালে

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুকে অস্বস্তি দেখা দেয়ায় অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ের হাসপাতালে ভর্তির খবরে উদ্বিগ্ন হাজরো অনুরাগী। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।

দক্ষিণ কলকাতার উডসল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভিনেত্রী ও সাবেক তৃণমূল এমপি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়, চলতি মাসের ১৫ জুন (শনিবার) বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো প্রবীণ অভিনেত্রীকে।

ভর্তির পর দ্রুত তার ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। করা হয়েছে সমস্ত প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষাও। পরীক্ষার ভিত্তিতেই চিকিৎসকদের ধারণা করোনারি ইনসাফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা। তার অর্থ অভিনেত্রী হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়েছে, তবে তার প্রভাব খানিক কম। এই মুহূর্তে কোনো রকম অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার পরছে না অভিনেত্রীর। ডা. এসবি রায় , ডা. সুস্মিতা দেবনাথ এবং ডা. পিকে মিত্র তিন সদস্যের চিকিৎসকদের এই টিম তার চিকিৎসার দায়িত্বে।

সাদা কালো থেকে রঙিন। বাংলা সিনেমায় দীর্ঘ ২৫ ধরে দাপটের সাথে অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। বছর তিনেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই অভিনেত্রী। ২০২২ সালের জুলাই মাসে স্বামী তরুণ মজুমদারকে হারান অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন একসাথে না থাকলেও কাগজে কলমে আলাদা হননি তারা। ১৯৬৭ সালে বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদারের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তিনি।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে রুপালি জগতে পা রাখেন সন্ধ্যা রায়। তার প্রথম ছবি ‘মামলার ফল’ (১৯৫৭)। অসামান্য অভিনয়ের কারণে তিনি অনায়াসে যে কোনো চরিত্র হয়ে উঠতে পারতেন সার্থকভাবে। সন্ধ্যা রায়ের অন্যতম চর্চিত ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে সত্যজিত রায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’।

অন্যদিকে, পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। যেমন ‘বাবা তারকনাথ’ কিংবা ‘দাদার কীর্তি’ , ‘ছোট বউ’। ‘মায়া মৃগয়া’, ‘কঠিন মায়া’, ‘বন্ধন’, ‘পলাতক’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘নিমন্ত্রণ’, দীর্ঘ ফিল্মি জীবনে বাঙালিকে অজস্র ছবি উপহার দিয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী।

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও সমান সফল অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিতে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯-এর নির্বাচনে বয়সজনিত কারণে নিজেই সরে দাঁড়ান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় হাসপাতালে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুকে অস্বস্তি দেখা দেয়ায় অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ের হাসপাতালে ভর্তির খবরে উদ্বিগ্ন হাজরো অনুরাগী। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।

দক্ষিণ কলকাতার উডসল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অভিনেত্রী ও সাবেক তৃণমূল এমপি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়, চলতি মাসের ১৫ জুন (শনিবার) বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো প্রবীণ অভিনেত্রীকে।

ভর্তির পর দ্রুত তার ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। করা হয়েছে সমস্ত প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষাও। পরীক্ষার ভিত্তিতেই চিকিৎসকদের ধারণা করোনারি ইনসাফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা। তার অর্থ অভিনেত্রী হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়েছে, তবে তার প্রভাব খানিক কম। এই মুহূর্তে কোনো রকম অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার পরছে না অভিনেত্রীর। ডা. এসবি রায় , ডা. সুস্মিতা দেবনাথ এবং ডা. পিকে মিত্র তিন সদস্যের চিকিৎসকদের এই টিম তার চিকিৎসার দায়িত্বে।

সাদা কালো থেকে রঙিন। বাংলা সিনেমায় দীর্ঘ ২৫ ধরে দাপটের সাথে অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। বছর তিনেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই অভিনেত্রী। ২০২২ সালের জুলাই মাসে স্বামী তরুণ মজুমদারকে হারান অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন একসাথে না থাকলেও কাগজে কলমে আলাদা হননি তারা। ১৯৬৭ সালে বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদারের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তিনি।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে রুপালি জগতে পা রাখেন সন্ধ্যা রায়। তার প্রথম ছবি ‘মামলার ফল’ (১৯৫৭)। অসামান্য অভিনয়ের কারণে তিনি অনায়াসে যে কোনো চরিত্র হয়ে উঠতে পারতেন সার্থকভাবে। সন্ধ্যা রায়ের অন্যতম চর্চিত ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে সত্যজিত রায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’।

অন্যদিকে, পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। যেমন ‘বাবা তারকনাথ’ কিংবা ‘দাদার কীর্তি’ , ‘ছোট বউ’। ‘মায়া মৃগয়া’, ‘কঠিন মায়া’, ‘বন্ধন’, ‘পলাতক’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘নিমন্ত্রণ’, দীর্ঘ ফিল্মি জীবনে বাঙালিকে অজস্র ছবি উপহার দিয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী।

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও সমান সফল অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিতে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯-এর নির্বাচনে বয়সজনিত কারণে নিজেই সরে দাঁড়ান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।