বরিশালে ৫০ একর জমি কিনেছেন মতিউর, ফোনেই চলতো কর্মকান্ড
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
বরিশালের মুলাদি উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম হাওলাদারের ছেলে ছাগলকান্ডে আলোচিত মতিউর রহমান হাওলাদার। তাদের পুরো পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত।
সদ্য সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বাবা শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নিয়ে কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে মুলাদী উপজেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ইউসুফ আলীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বাহাদুরপুর গ্রামে তাকে মতিউর নামে খুব কম সংখ্যক লোকে চেনেন। সবাই জানেন তার নাম পিন্টু। সাধারণত বাড়িতে তিনি আসতেন না। মোবাইল ফোনে নির্দেশ দিয়ে তার কর্মকান্ড চালাতেন। গ্রামের বাড়ি ও সম্পত্তি দেখভাল করছেন তার চাচাতো ভাই মাহমুদ্দিননবী ও ফখরুদ্দিন। অবশ্য তার বাড়ির বর্তমান অবস্থা আগে ছিলো না। রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পর এলাকায় প্রায় ৫০ একর একর জমি কিনেছেন। তবে এই জমি কার নামে কেনা হয়েছে তা তারা জানেন না। প্রায় পৌনে দুই একর জমির উপর নির্মাণ করেছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। দোতালা মসজিদ ও তিনতলা মাদ্রাসাও রয়েছে।
তার ভাই কাইউম ঢাকায় থাকেন। ভাইকে ঢাকার টঙ্গীতে ব্যাগের কারখানা খুলে দিয়েছেন। তিনি মুলাদি পৌর এলাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি কিনেছেন। অবশ্য মতিউরের বিরুদ্ধে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার বিষয় তার দুই চাচাতো ভাই অস্বীকার করেন।
চাচাতো ভাইরা জানান, বাহাদুরপুর গ্রামের কয়লা খালে পানি উন্নয়নের বোর্ডের দ্বারা ব্লক দিয়ে বাঁধাই করে দিয়েছেন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, খালের জমি দখল করে নিজের বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। খালটিতে বাঁধ দেয়ায় এখন গ্রামবাসীর চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। গ্রামবাসীর কাছে বাড়ির গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান করেছেন। গ্রামবাসীর মতে মতিউর নিজেও বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।