ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছায়না ত্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বন্যা পরিস্থিতি ফেনীতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে অবনতি হয়েছে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সেই সাথে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না প্রত্যন্ত এলাকার বন্যা দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওষধের সংকট। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তত্যমতে,দেশের ১১ জেলায় পানিবন্দি ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার।

সপ্তাহ ধরে চলমান বন্যায় দেশের ১১ জেলায় মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লার বানভাসিরা।

উজানের ঢলের বন্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, ফেনী সদর, পরশুরাম, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা। এসব এলাকায় গত দুই দিনে পানি কিছুটা কমেছে; বুক সমান পানি নেমে এসেছে হাঁটতেু। তবে কমেনি দুর্ভোগ।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চলতি বন্যায় ৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন দেড় লাখ মানুষ। পানি কমায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ফিরছেন বাড়িতে।

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। এর মধ্যে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে বানভাসিদের। রয়েছে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ।

এদিকে, হাতিয়ার ঘাসিয়ার চর, ঢাল চর, নিঝুম দ্বীপসহ প্রায় সবগুলো চর হাঁট সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার ১ হাজার ১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেছেন ২ লাখ মানুষ।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্মীপুরেও। প্লাবিত হয়েছে ৫ উপজেলার ৬০টি গ্রাম। পানিবন্দি ৮ লাখের বেশি মানুষ। পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় ত্রাণ পাচ্ছেন দুর্গম এলাকার বানভাসিরা।

এদিকে, মৌলভীবাজারে বানের পানি নামতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে কমলগঞ্জও কুলাউড়া ও জুড়ি উপজেলায় এখনও পানিবন্দি অনেক মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছায়না ত্রাণ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

বন্যা পরিস্থিতি ফেনীতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে অবনতি হয়েছে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সেই সাথে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না প্রত্যন্ত এলাকার বন্যা দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওষধের সংকট। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তত্যমতে,দেশের ১১ জেলায় পানিবন্দি ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার।

সপ্তাহ ধরে চলমান বন্যায় দেশের ১১ জেলায় মানুষের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লার বানভাসিরা।

উজানের ঢলের বন্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, ফেনী সদর, পরশুরাম, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা। এসব এলাকায় গত দুই দিনে পানি কিছুটা কমেছে; বুক সমান পানি নেমে এসেছে হাঁটতেু। তবে কমেনি দুর্ভোগ।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, চলতি বন্যায় ৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন দেড় লাখ মানুষ। পানি কমায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ফিরছেন বাড়িতে।

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। এর মধ্যে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে বানভাসিদের। রয়েছে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ।

এদিকে, হাতিয়ার ঘাসিয়ার চর, ঢাল চর, নিঝুম দ্বীপসহ প্রায় সবগুলো চর হাঁট সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার ১ হাজার ১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেছেন ২ লাখ মানুষ।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্মীপুরেও। প্লাবিত হয়েছে ৫ উপজেলার ৬০টি গ্রাম। পানিবন্দি ৮ লাখের বেশি মানুষ। পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় ত্রাণ পাচ্ছেন দুর্গম এলাকার বানভাসিরা।

এদিকে, মৌলভীবাজারে বানের পানি নামতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে কমলগঞ্জও কুলাউড়া ও জুড়ি উপজেলায় এখনও পানিবন্দি অনেক মানুষ।