বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
অমর একুশে বইমেলার পর্দা নেমেছে। শনিবার (২ মার্চ) শেষ হলো বইমেলা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমোদনক্রমে মেলার সময় বাড়ানো হয় আরও দুই দিন। সে হিসেবে আজ শেষ হলো অমর একুশে বইমেলা।
এবারে ৩১ দিন শেষে মেলায় নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি। মেলায় আনুমানিক ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ১ মার্চ পর্যন্ত মেলায় এসেছেন প্রায় ৫৯ লাখ দর্শনার্থী।
শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে একাডেমির উপপরিচালক শাহেদ মন্তাজ এ বছরের রিপোর্ট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বই বিক্রিতে গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। চলতি বছরর সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক বই বিক্রি হয়েছে। ২০২৩ সালে আনুমানিক ৪৭ কোটি, ২০২২ সালে সাড়ে ৫২ কোটি, ২০২১ সালে ৩ কোটি ১১ লাখ এবং ২০২০ সালে ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ পুরস্কার দেওয়া হয়। বইমেলায় নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট), বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়।
২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত ‘একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর’ গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত ‘যাত্রাতিহাস বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত’ গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত ‘কিলো ফ্লাইট’ প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ দেওয়া হয়। শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে ২০২৩ এ গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ দেওয়া হয় ‘ময়ূরপঙ্খিকে’।
বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান ও সচিব খলিল আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মেলার শেষ দিন মানুষের ভিড় দেখা যায়। স্টল এবং প্যাভিলিয়নের বিক্রয় কর্মীদের ব্যস্ততাও চোখে চোখে পড়ে। শেষদিন সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশকরা। অন্যদিকে আগামী বছরও বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার আয়োজন করার চেষ্টা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।