প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের অপসারনের দাবিতে মানবন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজেরে সামনে চাপাইনবাবগঞ্জ- রাজশাহী (ভিতরপাশ) মহাসড়কে শত শত মানুষ এই মানববন্ধ করে।
এ সময় মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ দলের প্রভাবশালী নেতা মজিবুর রহমান দলের প্রভাব খাটিয়ে সরকারী বিধি লঙ্ঘন করে কলেজের অধ্যক্ষ ও ৫নং গ্রোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ দখল করে রয়েছে। একই ব্যাক্তি সরকারী বিধি লঙ্ঘন করে কিভাবে দুই পদে বহাল থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশাসনের দিকে প্রশ্ন তুলেছেন মানবন্ধনে আসা শতশত জনসাধারন।
প্রেমতলী গ্রামের হামিদুর জামান ছবি বলেন, মজিবুর আওয়ামীলীগের প্রভাব বিস্তার করে প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ হয়েছেন। তিনি আওয়াশীলীগের প্রভাবসালী নেতা ও সাবেক এমপি ওমরফারুক চৌধূরীর আস্থা ভাজন হওয়ায় তিনি কলেজে যোগদান করার পর থেকে কলেজের লেখা পড়ার মান নষ্ঠ হয়েছে। তিনি নামে বেনামে বিভিন্ন বিল ভাওচারের মাধ্যমে কলেজের অর্থ আত্বসাস করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কথা কলতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে কথা বললে নাসকতার মামলায় আসামী করে হয়রানি করতো সাধারন মানুষকে। যার ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে কথা বলতে পারেনি। অধ্যক্ষ মজিবুরকে অপসারন করে প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনার জোর দাবি এ বক্তার।
প্রেমতলী গ্রামের নাজমুল হক টিপু বলেন, অধ্যক্ষ মজিবুর কলেজে যোগদান করার পর থেকে তিনি ঠিকমত কলেজে আসতেন না। সব সময় তিনি কলেজ বাদ দিয়ে রাজনিতী নিয়ে ব্যাস্থ থাকতো। কলেজ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে ছাত্র অভিভাবকেরা কলেজে এসে অধ্যক্ষকে কলেজে না পেয়ে দিনের পর দিন হয়রানি হতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ৫ অক্টোবর আওয়াশীলীগ সরকার পতনের পর থেকে আজ ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত একদিনও কলেজে আসেননি। এতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কলেজের বিভিন্ন কাজকর্মসহ শিক্ষা ব্যবস্থা।
মাটিকাটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাকারিয়া বলেন, এই অধ্যক্ষ এর আগে মাটিকাটা কলেজে দলের প্রভাব খাটিয়ে উপধ্যক্ষ পদে যোগদান করে সেই কলেজের লেখাপড়ার মান নষ্ট করে এসে আবারো প্রেমতলী কলেজে দলের প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ হয়েছেন। মজিবুর আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় সরকারী বিধী লঙ্ঘন করে কলেজে অধ্যক্ষ ও ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে রয়েছে। তিনি ঠিকমত ইউনিয়ন পরিষদে জাননা। সপ্তাহে একদিন বা ১৫ দিন পর একদিন ইউনিয়ন পরিষদে যান। এমনকি প্রায় ৩ মাস থেকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে যায়নি।ফলে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নবাসী। তাই তিনার অপসারনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
ফরাদপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ বাবলু বলেন, মজিবুর চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী হয়রত আলীর কছে বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ওমরফারুক চেীধুরীর ও আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমান দলের প্রভাব খাটিয়ে হযরত আলীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে মজিবুর প্রশাসানকে দিয়ে জোর করে নিজকে বিজয়ী ঘোষনা করে ৫ নং গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছে। এই বিষয়ে হযরত আলী আইনের আশ্রায় গ্রহন করেছে। আদালতে এ বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তাই মজিবুরকে চেয়ারম্যানপদ থেকে অপসারণ করে হযরত আলীকে চেয়ারম্যানপদে বসিয়ে তার অধিকার ফিরেয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
৫নং গ্রোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মিজানুর রহমান ভোলা বলেন, চেয়ারম্যানপ্রার্থী হযরত আলীর চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেও অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে প্রশাসনকে দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসাবে বিজয়ী ঘোষনা করেছেন। হযরত আলী এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছে। মজিবুরকে চেয়ারম্যান থেকে অপসারণ করে হযরত আলীকে য়োরম্যান পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এই মানবন্ধন থেকে দবি জানাচ্ছি।
শত শত এলাকাবাসী মানবন্ধনে অংশগ্রহন করে অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের অপসারণের দবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। প্রশাসনের নিকট অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের অপসারণের জোর দাবি জানায়।