প্রশিক্ষণ ফাঁকি দিয়ে নির্বাচন ডিউটিতে প্রধান শিক্ষক
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জের মাধবপুরে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইউআরসি কর্তৃক প্রশিক্ষণ ফাঁকি দিয়ে বেসরকারি একটি বেবিট্যাক্সি সমিতির নির্বাচন ডিউটিতে ভোট গ্রহন কাজে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাধবপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত ১৫ দিনের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের লিডারশিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা ভোগের লোভে, বেবিট্যাক্সি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে মত্ত রয়েছে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ও আখতারুল আলম নামে দুই প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল সুন্দাদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং অপরজন মাধবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যদি ও আদেশ থাকে, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যাতিরেকে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার প্রশিক্ষণ, মতবিনিময় সভায় পূর্ব অনুমোদিত কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য কর্মস্থল ত্যাগের পূর্বে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের এই আদেশকে তোয়াক্কা না করে এই দুই প্রধান শিক্ষক একটি সমিতির নির্বাচনে ট্রেনিংয়ে মত্ত।
জানতে চাইলে দুই প্রধান শিক্ষক বলেন, লিডারশিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ বাদ রেখে সমিতির নির্বাচন ডিউটি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক সমিতি নেতা বলেন, সরকারি প্রশিক্ষণ লিডারশীপে ডেপুটেশন থেকে, বেসরকারি সমিতির নির্বাচনে দায়িত্বপালন,বুঝলাম না।
লিডারশিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল নাজিম বলেন, তারা দু’জনে সমস্যা দেখাইছে, আর তারা কোনো ছুটি নিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ট্রেনিংটা মূলত ইন্সট্রাক্টর কর্তৃক পরিচালিত তাই তিনিই জানেন।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর খায়ের মোল্লা বলেন, একটা ট্রেনিংয়ে থাকা অবস্থায় আরেকটা সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তা হিসেবে যেতে পারেন না, এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জাকিরুল হাসান বাংলা টাইমসকে বলেন, এটা আসলে দু:খজনক, আমি ওনাদের ট্রেনিংয়ে ডেপুটেশন দিয়েছি, ওনারা ট্রেনিং করবে, কিন্তু যদি না করে থাকে, এটা যিনি ট্রেনিং কন্ট্রাক্ট করতেছেন ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর ওনারই দায়িত্ব। প্রথমত ভাতা ত পাবেনই না, এবং কেন অনুপস্থিত তা জানতে চাইব।