প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ঘন্টা ব্যাপী সড়ক অবরোধ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার রাংগামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
রোববার (৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার রাংগামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিনাজপুর-গবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবোরোধ করে মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নানামুখী স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। মানবন্ধন চলাকালে সড়কের দুপাশে শতশত যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। এতে সড়কের দুইদিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
মানবন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক, সাজ্জাদ, মারুফ , তানজিকা আক্তার, জান্নাতুন মাওয়া, জিসা, প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোস্তাকিম, আরিফুল, রাকিব ও অভিভাবক উজ্জল, মিন্টু প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন হওয়ার পর স্কুলের পুরোনো তিনটি ভবন টেন্ডার ছাড়াই ভেঙ্গে মালামাল গুলো আত্মসাত করেছে। স্কুল ক্যাম্পাসের শতাধিক গাছ টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করেছে। ফরম পূরণ ও রেজিস্ট্রেশনের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া অতি সম্প্রতি নিয়োগ বাণিজ্যের ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। বর্তমানে স্কুল ফান্ডে কোন টাকা নেই, একদম ফাঁকা।
তারা আরও বলেন, অত্যধিক গরমে কষ্ট হলেও ক্লাস রুমের ফ্যান চালাতে দেননা প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে শিক্ষার বিষয়ে ঠিকমত তদারকিও করেননা, নিজ খেয়াল খুশি মত চলেন। এত বড় বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনারের ব্যবস্থা নাই, জাতীয় দিবস গুলোতে আমরা বিভিন্নভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
বিষয়টি নিয়ে রাংগামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নির্দোষ, আমার ব্যাপারে কোন অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে দেখুক।
পরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি আমলে নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে ফিরে যায় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো.আল কামাহ্ তমাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্যরা অভিযোগ গুলো তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ওই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক। সে পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকবেন।