ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোরেলগঞ্জে ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার অডিট আপত্তি

পে অর্ডারের টাকা আত্মসাত করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

আবু হানিফ, বাগেরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতির বিরুদ্ধে পে অর্ডারের অর্থ আত্মসাত, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ করেছেন এক ঠিকাদার। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার অডিট আপত্তি।

শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মেসার্স সি আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এম কে রতন।

তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ঔষধ সহ প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়ের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দুটি পে অর্ডারে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুকূলে জমা দিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার দরপত্র মূল্য গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে পে অর্ডারের টাকা ফেরত পেতে একাধিকবার আবেদন করলেও, টাকা ফেরত পাইনি। পরে জানতে পারি পে অর্ডার দুটি হাসপাতালের হিসাবে জমা দিয়েছেন, পরবর্তীতে ওই টাকা তুলে ডা. কামাল হোসেন মুফতি আত্মসাৎ করেছেন।

ওই ঠিকাদার আরও বলেন, ২০২১-২২অর্থ বছরে করোনাকালীন হসান এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাসপাতালের স্টোরকিপার অঞ্জলি রানীর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজিস্টার তৈরি করে বিপুল পরিমাণ ঔষধ আত্মসাৎ করেছেন। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে তিন কোটি সতের লাখ টাকার অডিট আপত্তি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ডা. কামাল হোসেন মুফতি শুধু আমার সাথে নয়, এলাকার অনেক মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন এই কর্মকর্তার কারনে। পে অর্ডারের টাকা ফেরত পেতে উর্দন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, এম কে রতনের অভিযোগগুলো আসলে মিথ্যা। কোন পে অর্ডারের টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। ওই ঠিকাদার টাকা বুঝে পেয়েছেন। এখন হয়ত আমাকে হেয় করার জন্য এসব করছে।
আর যখন অডিট এসেছিল, তখন আমি উপস্থিত ছিলাম না। সঠিকভাবে কাগজপত্র উপস্থাপন না করার কারণে, কিছু অডিট আপত্তি এসেছে। পরবর্তীতে আমি কাগজপত্র জমা দিলে বেশ কিছু অডিট আপত্তির সমাধান হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মোরেলগঞ্জে ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকার অডিট আপত্তি

পে অর্ডারের টাকা আত্মসাত করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতির বিরুদ্ধে পে অর্ডারের অর্থ আত্মসাত, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ করেছেন এক ঠিকাদার। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার অডিট আপত্তি।

শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মেসার্স সি আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এম কে রতন।

তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ঔষধ সহ প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়ের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দুটি পে অর্ডারে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুকূলে জমা দিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার দরপত্র মূল্য গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে পে অর্ডারের টাকা ফেরত পেতে একাধিকবার আবেদন করলেও, টাকা ফেরত পাইনি। পরে জানতে পারি পে অর্ডার দুটি হাসপাতালের হিসাবে জমা দিয়েছেন, পরবর্তীতে ওই টাকা তুলে ডা. কামাল হোসেন মুফতি আত্মসাৎ করেছেন।

ওই ঠিকাদার আরও বলেন, ২০২১-২২অর্থ বছরে করোনাকালীন হসান এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাসপাতালের স্টোরকিপার অঞ্জলি রানীর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজিস্টার তৈরি করে বিপুল পরিমাণ ঔষধ আত্মসাৎ করেছেন। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে তিন কোটি সতের লাখ টাকার অডিট আপত্তি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ডা. কামাল হোসেন মুফতি শুধু আমার সাথে নয়, এলাকার অনেক মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন এই কর্মকর্তার কারনে। পে অর্ডারের টাকা ফেরত পেতে উর্দন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, এম কে রতনের অভিযোগগুলো আসলে মিথ্যা। কোন পে অর্ডারের টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। ওই ঠিকাদার টাকা বুঝে পেয়েছেন। এখন হয়ত আমাকে হেয় করার জন্য এসব করছে।
আর যখন অডিট এসেছিল, তখন আমি উপস্থিত ছিলাম না। সঠিকভাবে কাগজপত্র উপস্থাপন না করার কারণে, কিছু অডিট আপত্তি এসেছে। পরবর্তীতে আমি কাগজপত্র জমা দিলে বেশ কিছু অডিট আপত্তির সমাধান হয়েছে।