ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ধ‌সে খাগড়াছড়ি-বারৈইয়ার হাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা রামগ‌ড় উপজেলায় পাহাড় ধ‌সে খাগড়ছড়ি-বারৈইয়ার হাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার রামগড়ে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ি-বারৈইয়ার হাট সড়কে বৃহস্প‌তিবার দুপুর থে‌কে সকল ধর‌নের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রা‌তের ম‌ধ্যেই সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভা‌গের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধর্ম জ্যোতি চাকমা।

যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স ,ফায়ার সার্ভিসসহ সকল ধরনের পরিবহন আটকা পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। জনদুর্ভোগ লাগ‌বে দ্রুত মাটি অপসারণ এর কাজ করছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এ কাজ নির্বিঘ্নে করতে এবং দুর্ঘটনার রোধে সড়‌কে শৃঙ্খলার দায়িত্বে পালন করছে বিজিবি।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের রামগড অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধর্মজ্যোতি চাকমা বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে পাহাড় ধ‌সে পরার কারণে সড়ক বন্ধ হযে যায়। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এ‌সে সড়কে চলাচল স্বাভাবিক করতে দুটি ড্রেজার মেশিন দিযে মাটি অপসারণের কাজ শুরু ক‌রি। এখ‌নো কাজ চলছে আরও দুটি ভোল্ড ড্রেজার কাজে লাগানোর জন্য আনা হচ্ছে। শুক্রবার রা‌তের ম‌ধ্যেই চলাচল স্বাভাবিক হ‌তে পা‌রে।

সরজ‌মি‌নে গিয়ে দেখা যায়, রামগড় ইউনিয়নের দাতারাম পাড়া সংলগ্ন রামগড়-জা‌লিয়াপাড়া সড়‌কের পাইহ্লা ‌টিলা নামক স্থানে পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের উপর আছড়ে গলে পড়ে। তাতে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যোগা‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন র‌য়ে‌ছে। পায়ে হেঁটেও মানুষ পারাপার হ‌তে পারছে না। স্থানীয়রা গাছপালা কেটে একপাশে পরিষ্কার করে দি‌লে তা দি‌য়ে জীব‌নের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে কিছু কিছু মানুষ পার হ‌চ্ছে। রাস্তার দুপাশে সিএনজি বাস ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়িগুলো সা‌রি সা‌রি দাঁড়িয়ে আ‌ছে। দু‌টি ড্রেজার দিযে দ্রুততার সা‌থে মাটি সরা‌নোর কাজ চল‌ছে।

স্থানীযরা জানান, প্রায় ৮০শতক জায়গা নিযে পাহাড়টি দ্বিখ‌ন্ডিত হ‌য়ে ধসে পড়ে। পার্বত্য অঞ্চলে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের নজির থাকলেও এত বড় পাহাড় ধসের খবর আমাদের জানা নেই। এছাড়াও সড়‌কের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে বিচ্ছিন্ন ভাবে ছোট ছোট আকা‌রে পাহাড় ধ‌সে পড়ার খবর পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাহাড়ধ‌সে খাগড়াছড়ি-বারৈইয়ার হাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা রামগ‌ড় উপজেলায় পাহাড় ধ‌সে খাগড়ছড়ি-বারৈইয়ার হাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার রামগড়ে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ি-বারৈইয়ার হাট সড়কে বৃহস্প‌তিবার দুপুর থে‌কে সকল ধর‌নের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রা‌তের ম‌ধ্যেই সড়কে চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভা‌গের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধর্ম জ্যোতি চাকমা।

যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স ,ফায়ার সার্ভিসসহ সকল ধরনের পরিবহন আটকা পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। জনদুর্ভোগ লাগ‌বে দ্রুত মাটি অপসারণ এর কাজ করছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এ কাজ নির্বিঘ্নে করতে এবং দুর্ঘটনার রোধে সড়‌কে শৃঙ্খলার দায়িত্বে পালন করছে বিজিবি।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের রামগড অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ধর্মজ্যোতি চাকমা বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে পাহাড় ধ‌সে পরার কারণে সড়ক বন্ধ হযে যায়। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এ‌সে সড়কে চলাচল স্বাভাবিক করতে দুটি ড্রেজার মেশিন দিযে মাটি অপসারণের কাজ শুরু ক‌রি। এখ‌নো কাজ চলছে আরও দুটি ভোল্ড ড্রেজার কাজে লাগানোর জন্য আনা হচ্ছে। শুক্রবার রা‌তের ম‌ধ্যেই চলাচল স্বাভাবিক হ‌তে পা‌রে।

সরজ‌মি‌নে গিয়ে দেখা যায়, রামগড় ইউনিয়নের দাতারাম পাড়া সংলগ্ন রামগড়-জা‌লিয়াপাড়া সড়‌কের পাইহ্লা ‌টিলা নামক স্থানে পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের উপর আছড়ে গলে পড়ে। তাতে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যোগা‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন র‌য়ে‌ছে। পায়ে হেঁটেও মানুষ পারাপার হ‌তে পারছে না। স্থানীয়রা গাছপালা কেটে একপাশে পরিষ্কার করে দি‌লে তা দি‌য়ে জীব‌নের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে কিছু কিছু মানুষ পার হ‌চ্ছে। রাস্তার দুপাশে সিএনজি বাস ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়িগুলো সা‌রি সা‌রি দাঁড়িয়ে আ‌ছে। দু‌টি ড্রেজার দিযে দ্রুততার সা‌থে মাটি সরা‌নোর কাজ চল‌ছে।

স্থানীযরা জানান, প্রায় ৮০শতক জায়গা নিযে পাহাড়টি দ্বিখ‌ন্ডিত হ‌য়ে ধসে পড়ে। পার্বত্য অঞ্চলে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের নজির থাকলেও এত বড় পাহাড় ধসের খবর আমাদের জানা নেই। এছাড়াও সড়‌কের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে বিচ্ছিন্ন ভাবে ছোট ছোট আকা‌রে পাহাড় ধ‌সে পড়ার খবর পাওয়া যায়।