ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানির নীচে আমনের বীজতলা, চাষাবাদ বন্ধ

মাহবুব বিশ্বাস, বরগুনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

module:1facing:0; ?hw-remosaic: 0; ?touch: (-1.0, -1.0); ?modeInfo: ; ?sceneMode: Auto; ?cct_value: 5656; ?AI_Scene: (-1, -1); ?aec_lux: 180.70798; ?hist255: 0.0; ?hist252~255: 0.0; ?hist0~15: 0.0; ?module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 5656; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 180.70798; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুর্ণিমার জোর প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভারিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি ও অবিরাম বৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট থই থই করছে। এতে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। জলকপাট বন্ধ থাকায় জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এতে মহা বিপাকে পরেছেন তারা।

জানা গেছে, আমতলীতে এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। ওই জমিতে বীজ বপন করতে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করেছে। কিন্তু পুর্ণিমার জোর ও বৃষ্টির পানিতে মাঠে পানি থই থই করছে। ফলে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এতে মহাবিপাকে পরেছেন তারা।

কৃষকরা জানান, পানিতে মাঠ ঘাট থই থই করছে। অধিকাংশ বীজতলা পানির নিতে রয়েছে। পানির জন্য চাষাবাদ করতে পারছি না। এদিকে জলকপাটগুলো বন্ধ থাকায় জলাবন্ধতা দেয়া দিয়েছে। দ্রæত জলকপাটগুলো খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে ঘুড়ে দেখাগেছে, মাঠ-ঘাটে শুধুই পানি। কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ। বীজতলা পানির নীচে।
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, পানিতে মাঠ ভরে গেছে। চাষাবাদ করতে পারছি না। এ বছর কি হবে জানিনা?

চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের কৃষক নাশির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, শুরু পানি আর পানি। দ্রæত এ পানি নিস্কাশন না হলে জমি চাষাবাদ করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, দুই একর জমির বীজতলা করেছিলাম, তা এখন পানির নীচে। দুই এক দিনের মধ্যে পানি না সরলে ওই বীজতলা পঁচে যাবে।

একই গ্রামের জগদিশ চন্দ্র শীল বলেন, পানিতে সমুদয় বীজ পঁচে গেছে। জমিতে কি রোপন করবো তা ভেবে পাচ্ছি না।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার ঈশা বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে মাঠ ঘাট তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের জমি চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনেক বীজ পঁচে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খোজ খবর নিয়ে দ্রুত জল কপাট খুলে দেয়ার ব্যবস্হা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পানির নীচে আমনের বীজতলা, চাষাবাদ বন্ধ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

পুর্ণিমার জোর প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভারিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি ও অবিরাম বৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট থই থই করছে। এতে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। জলকপাট বন্ধ থাকায় জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এতে মহা বিপাকে পরেছেন তারা।

জানা গেছে, আমতলীতে এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। ওই জমিতে বীজ বপন করতে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করেছে। কিন্তু পুর্ণিমার জোর ও বৃষ্টির পানিতে মাঠে পানি থই থই করছে। ফলে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে পঁচে গেছে। কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এতে মহাবিপাকে পরেছেন তারা।

কৃষকরা জানান, পানিতে মাঠ ঘাট থই থই করছে। অধিকাংশ বীজতলা পানির নিতে রয়েছে। পানির জন্য চাষাবাদ করতে পারছি না। এদিকে জলকপাটগুলো বন্ধ থাকায় জলাবন্ধতা দেয়া দিয়েছে। দ্রæত জলকপাটগুলো খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে ঘুড়ে দেখাগেছে, মাঠ-ঘাটে শুধুই পানি। কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ। বীজতলা পানির নীচে।
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, পানিতে মাঠ ভরে গেছে। চাষাবাদ করতে পারছি না। এ বছর কি হবে জানিনা?

চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের কৃষক নাশির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, শুরু পানি আর পানি। দ্রæত এ পানি নিস্কাশন না হলে জমি চাষাবাদ করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, দুই একর জমির বীজতলা করেছিলাম, তা এখন পানির নীচে। দুই এক দিনের মধ্যে পানি না সরলে ওই বীজতলা পঁচে যাবে।

একই গ্রামের জগদিশ চন্দ্র শীল বলেন, পানিতে সমুদয় বীজ পঁচে গেছে। জমিতে কি রোপন করবো তা ভেবে পাচ্ছি না।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার ঈশা বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে মাঠ ঘাট তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের জমি চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনেক বীজ পঁচে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খোজ খবর নিয়ে দ্রুত জল কপাট খুলে দেয়ার ব্যবস্হা করা হবে।