পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে শিকলে বেঁধে ধর্ষণের ভিডিও ধারন!
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাটে ২৫ দিন আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর মূল পরিকল্পনাকারীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ । গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তার নাম মাসুদ। তবে ব্যারিস্টার পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি দেশে আছেন, নাকি বিদেশে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাসুদের নির্দেশেই তরুণীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করতেন গ্রেপ্তার সালমা ওরফে ঝুমুর । গোপনে ধারণ করা ভিডিও মাসুদকে পাঠিয়ে দিতেন সালমা । পর্নোগ্রাফির উদ্দেশ্যে এসব ভিডিও ধারণ করা হয়। আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তাদের মুঠোফোন ফেলে দিয়েছেন । মুঠোফোন উদ্ধার এবং মাসুদকে গ্রেপ্তার করা করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে ।
জানা গেছে, সালমা একসময় একটি সুপারশপে চাকরি করতেন । বিয়ের পর তার স্বামী ভারতে চলে যায় । বছরের বেশির ভাগ সময় তিনি সেখানে থাকেন । সালমা ওই তরুণীর সাথে মাসুদের ভাড়া করে দেওয়া বাসায় থাকতেন । এ জন্য থাকা- খাওয়ার পাশাপাশি তাকে মাসে ৪ হাজার টাকা বেতন দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন মাসুদ ।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাসুদ ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ব্যারিস্টার পরিচয়ে তরুণীকে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন ।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার( এসি) আজিজুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাসুদ আসলে ব্যারিস্টার কি না, তা যাচাই- বাছাই করতে হবে । তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্রাহত রয়েছে ।
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ সূত্র জানা যায়, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সান ( ২৬), রকি ( ২৯), হিমেল( ২৭) এবং সালমা ওরফে ঝুমুরকে আদালতে হাজির করা হয় । তাদের আবার ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয় । আদালত আবারও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।
মোহাম্মদপুরের একটি ভবন থেকে গত শনিবার এক তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ । শনিবার রাতে বাসায় কেউ না থাকায় ওই তরুণী জানালা দিয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় এক বাসিন্দা জরুরি সেবা নম্বরে( ৯৯৯) ফোন করে। এরপর পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ।
ভুক্তভোগী তরুণী উদ্ধার হওয়ার পর ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন । মামলার এজাহার অনুযায়ী, তরুণীটির মা ও বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে । পরে তারা অন্যত্র বিয়ে করেছেন । তরুণীটি থাকতেন তার বড় বোনের বাসায় । ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা তার পূর্বপরিচিত ।
তরুণীতে ধর্ষণ ও সহায়তায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।