ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় বিলীন শতশত ঘরবাড়ি, হুমকিতে কয়েকশ স্থাপনা

ফেরদৌস সিহানুক (শান্ত), চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড জাইটপাড়া, বোগলাউড়ী লক্ষ্মীপুর এবং দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড চরজগনাথপুর, আইয়ুব আলী বিশ্বাসপাড়া, পন্ডিতপাড়া এবং মনোহারপুর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।কয়েক দিনের ভাঙনে প্রায় ১০০ বসতবাড়ি ও ১৫ হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে নদীর দু’পাড়ের কয়েকশ স্থাপনা।

নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বলেন, গত বছরে নদী ভাঙনের কারণে শতশত কৃষি জমিসহ বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। এখন আবার শুরু হয়েছে। গত ১৫দিন ধরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শত শত কৃষি জমি এবং বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হচ্ছে।

পাঁকা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহা. আলমগীর বলেন, গত নয় বছর থেকেই এ সময় নদী ভাঙন এর কারণে বাড়ি ভেঙে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে হয়। হাজার হাজার কৃষিজমি ও বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নাই, পাই না কোনো সরকারি সুবিধা, এলাকাবাসীর জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

সরজমিনে শিবগঞ্জ উপজেলার নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে আল আমিন নামে একজন বলেন, আমাদের বাড়ি পাঁকা ইউনিয়ন। নদীভাঙনে আমাদের এলাকার মানুষ খুব কষ্টে রয়েছে। প্রতিদিন শতশত কৃষি জমি কিংবা বাড়িঘর নদীতে ভেঙে পড়ছে।গ্রামবাসী আরও বলেন, জিও ব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন রক্ষা হবে না। জিওব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন রক্ষার ক্ষেত্রে পাঁকা ইউনিয়ন ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড এর এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারি ভাবে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত এই গ্রামগুলোকে রক্ষার জন্য। জিওব্যাগ বা অন্য পন্থা থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন বলেন, শুনেছি নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। জিওব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।তিনি বলেন, মনোহরপুর থেকে উজিরপুর সাড়ে ১২ কিলোমিটার স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ আরম্ভ করার জন্য প্রজেক্ট তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় পনেরশো কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রজেক্টে ডিসেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি মাসে এ প্রজেক্টটি দাখিল করবো। এ প্রজেক্ট প্রায় পনেরশ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সেখানে নদীভাঙন আরো ভিতরে চলে না যায় এজন্য অস্থায়ীভাবে জিওব্যাগ দিয়ে ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পদ্মায় বিলীন শতশত ঘরবাড়ি, হুমকিতে কয়েকশ স্থাপনা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড জাইটপাড়া, বোগলাউড়ী লক্ষ্মীপুর এবং দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড চরজগনাথপুর, আইয়ুব আলী বিশ্বাসপাড়া, পন্ডিতপাড়া এবং মনোহারপুর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।কয়েক দিনের ভাঙনে প্রায় ১০০ বসতবাড়ি ও ১৫ হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে নদীর দু’পাড়ের কয়েকশ স্থাপনা।

নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বলেন, গত বছরে নদী ভাঙনের কারণে শতশত কৃষি জমিসহ বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। এখন আবার শুরু হয়েছে। গত ১৫দিন ধরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শত শত কৃষি জমি এবং বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হচ্ছে।

পাঁকা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহা. আলমগীর বলেন, গত নয় বছর থেকেই এ সময় নদী ভাঙন এর কারণে বাড়ি ভেঙে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে হয়। হাজার হাজার কৃষিজমি ও বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নাই, পাই না কোনো সরকারি সুবিধা, এলাকাবাসীর জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

সরজমিনে শিবগঞ্জ উপজেলার নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে আল আমিন নামে একজন বলেন, আমাদের বাড়ি পাঁকা ইউনিয়ন। নদীভাঙনে আমাদের এলাকার মানুষ খুব কষ্টে রয়েছে। প্রতিদিন শতশত কৃষি জমি কিংবা বাড়িঘর নদীতে ভেঙে পড়ছে।গ্রামবাসী আরও বলেন, জিও ব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন রক্ষা হবে না। জিওব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন রক্ষার ক্ষেত্রে পাঁকা ইউনিয়ন ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড এর এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারি ভাবে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত এই গ্রামগুলোকে রক্ষার জন্য। জিওব্যাগ বা অন্য পন্থা থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন বলেন, শুনেছি নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। জিওব্যাগ দিয়ে নদীভাঙন রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।তিনি বলেন, মনোহরপুর থেকে উজিরপুর সাড়ে ১২ কিলোমিটার স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ আরম্ভ করার জন্য প্রজেক্ট তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় পনেরশো কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রজেক্টে ডিসেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি মাসে এ প্রজেক্টটি দাখিল করবো। এ প্রজেক্ট প্রায় পনেরশ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সেখানে নদীভাঙন আরো ভিতরে চলে না যায় এজন্য অস্থায়ীভাবে জিওব্যাগ দিয়ে ঠেকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।