ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটো পাস করানোর দাবির মুখে

পদত্যাগ করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


শিক্ষার্থী, পদত্যাগ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, চেয়ারম্যান,

চলতি বছরে এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটো পাস করানোর দাবির মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। একই সাথে তিনি শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবির সাথে একাত্মতা জানান। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করব।

এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে ঢুকে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন একদল শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বিক্ষোভ চলাকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু শিক্ষার্থী ভবনের ভেতরে ঢুকে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছে।

এ বছরের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গেল ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। বাকি ছিল ব্যবহারিক পরীক্ষাও। একপর্যায়ে স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা। তখন স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।

১৫ অক্টোবর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। স্থগিত হওয়া বিষয়গুলোর পরীক্ষা আন্দোলনের মুখে বাতিলের কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন হয়েছে ভিন্ন পদ্ধতিতে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর মূল্যায়ন হয়েছে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং)। অর্থাৎ এসএসসিতে যে শিক্ষার্থী যত নম্বর পেয়েছিলেন, সেটা এইচএসসিতে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আর এইচএসসিতে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা হয়েছিল, সেগুলোর উত্তরপত্রের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হয়েছে। এ দুই মূল্যায়ন মিলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে অটোপাসের দাবিতে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। চেয়ারম্যানের অফিস ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করেন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা।

জানা গেছে, দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের প্রবেশের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে তিন ছাত্রীসহ ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন প্রিয়াঙ্কা (১৮) ও জান্নাতুল (১৮)।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটো পাস করানোর দাবির মুখে

পদত্যাগ করছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪


শিক্ষার্থী, পদত্যাগ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, চেয়ারম্যান,

চলতি বছরে এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের অটো পাস করানোর দাবির মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। একই সাথে তিনি শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবির সাথে একাত্মতা জানান। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করব।

এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে ঢুকে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন একদল শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বিক্ষোভ চলাকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু শিক্ষার্থী ভবনের ভেতরে ঢুকে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছে।

এ বছরের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গেল ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। বাকি ছিল ব্যবহারিক পরীক্ষাও। একপর্যায়ে স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা। তখন স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।

১৫ অক্টোবর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। স্থগিত হওয়া বিষয়গুলোর পরীক্ষা আন্দোলনের মুখে বাতিলের কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন হয়েছে ভিন্ন পদ্ধতিতে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর মূল্যায়ন হয়েছে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং)। অর্থাৎ এসএসসিতে যে শিক্ষার্থী যত নম্বর পেয়েছিলেন, সেটা এইচএসসিতে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আর এইচএসসিতে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা হয়েছিল, সেগুলোর উত্তরপত্রের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হয়েছে। এ দুই মূল্যায়ন মিলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে অটোপাসের দাবিতে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। চেয়ারম্যানের অফিস ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করেন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা।

জানা গেছে, দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের প্রবেশের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে তিন ছাত্রীসহ ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন প্রিয়াঙ্কা (১৮) ও জান্নাতুল (১৮)।