ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে ১৩ মামলার আসামি সুমন গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। তার বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় অগ্নিসংযোগ, হত্যা মামলা, চাঁদাবাজি মামলাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও সে একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

গ্রেপ্তারকৃত আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমন (৩৫) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পৌর হাজীপুর এলাকার মৃত লুৎফল হক লাতু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার চৌমুহনী পূর্ব বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, চুরি, মাদক ও হত্যা মামলাসহ সর্বমোট ১৩ টি মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত আসামি একটি অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় আক্রমণ, ভাংচুরসহ অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটায়। লুটপাটের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি লুট করে নিয়ে যায়। খালাসি সুমনের বিরুদ্ধে গত ২০ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সে পেশায় একজন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন,দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্থ থাকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো.গোলাম মোর্শেদ আরও বলেন, এলাকার লোকজন তাদের এরূপ কার্যকলাপে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করত না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন তাকে মারধরসহ নির্যাতন করতো। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নোয়াখালীতে ১৩ মামলার আসামি সুমন গ্রেপ্তার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। তার বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় অগ্নিসংযোগ, হত্যা মামলা, চাঁদাবাজি মামলাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও সে একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

গ্রেপ্তারকৃত আমজাদ হোসেন সুমন ওরফে খালাসি সুমন (৩৫) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পৌর হাজীপুর এলাকার মৃত লুৎফল হক লাতু মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার চৌমুহনী পূর্ব বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, চুরি, মাদক ও হত্যা মামলাসহ সর্বমোট ১৩ টি মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত আসামি একটি অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় আক্রমণ, ভাংচুরসহ অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটায়। লুটপাটের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি লুট করে নিয়ে যায়। খালাসি সুমনের বিরুদ্ধে গত ২০ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সে পেশায় একজন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন,দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্থ থাকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো.গোলাম মোর্শেদ আরও বলেন, এলাকার লোকজন তাদের এরূপ কার্যকলাপে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করত না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন তাকে মারধরসহ নির্যাতন করতো। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হবে।