ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে পশু সম্পদ হুমকির মুখে

আজিজুল বুলু,নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


নীলফামারী জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকান্ডে অসন্তোষ গবাদি পশু লালন-পালনকারীরা।কর্মকর্তাদের অফিসে অতুপস্থিত আর খেয়াল খুশি মতো অফিসে আসা-যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে পশু সম্পদ।চলমান লাম্পিং (চর্মরোগ রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গৃহে ও খামারে লালন-পালনকারীরা।


নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের আব্দুল মতিন বাংলা টাইমসকে জানান:আমার একটি গাভি ও একটি বকনা চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়।স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাপত্র নিয়েও রোগটি নিরাময়ের কোন লক্ষন দেখতে না পাওয়ায় ছুটে আসি উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে।সেখানকার কর্মকর্তা সম্প্রতি অবসরে গেছেন।

এ অফিসের দায়িত্বে আছেন জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল হক।তার খোঁজে ছুটে যাই জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে। সেখানে তাকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ি।তখন অফিসের একজন জানান,জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ডাঃ সিরাজুল হক রংপুর বিভাগীয় শহরে বসবাস করেন।সেখান থেকে অফিসে আসা যাওয়া করেন।কোনদিন আসেন কোনদিন আসেন না।এ ভাবেই চলছে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে।


তিনি আমাকে পরামর্শ দেন আপনি জেলা ভেটেরিনারি (পশু) হাসপাতালের চিকিৎসকের সাথে কথা বলেন।তিনি আপনাকে সু-চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন। পরামর্শদাতার কথা আমলে নিয়ে জেলা পশু হাসপাতালে যাই।সেখানে একজন অফিসসহকারী বসে আছেন।হাসপাতালের চিকিৎসক আসেননি।তার জন্য প্রায় ৪ ঘন্টা অপেক্ষায় থাকার পরোও চিকিৎসকের দেখা পাইনি।সেদিন আমার মতো অনেকেই ফিরে গেছেন।

নীলফামারী প্রাণী সম্পদ দপ্তরের এ অবস্থা চলতে থাকলে পশু সম্পদ পড়বে হুমকির মুখে।তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরদারী ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।


আর্কষিক আভির্ভুত এই ভাইরাস জনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা চর্মরোগ মহামারি আকারে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে।


জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে: এ জেলায় ৭ লাখ ৩২ হাজার ৮১৭ গবাদিী পশু রয়েছে।এর মধ্যে ৯ হাজার ৬২৬টি খামারে ৫৭ হাজার ৭৫৬টি খামারে আর ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬১টি গরু পালন করে গৃহে।

অফিসের একটি নির্ভযোগ্য সুত্রের তথ্যমতে: নীলফামারী জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল হক যোগদানের পর থেকেই অফিস স্টাফদের সাথে সম্পর্ক ভাল নেই তার।অফিসটা যেন তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন।

এসব বিষয় নিয়ে বাংলা টাইমসের প্রতিবেদক তার অফিসে গেলে তাকে কর্মস্থলে না পেয়ে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি জানান অমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে বলে ফোনটি কেটে দেন।তার পরদিন অফিসে গেলেও তার দেখা পাননি তিনি।

কয়েকদিন পর তার সাথে মুঠো ফোনে কথা কথা হলে:তিনি জানান, আমি অফিসে আগামীকাল আসবে আসেন।তার কথা মতো সেদিন অফিসে গেলে তার সাথে কথা হয়।তিনি রংপুরে থাকে কর্মস্থলে আসা-যাওযার কথা স্বীকার করেন।অফিসে আসা যাওযা কথা জিজ্ঞাস করলে বিষয়টি সুকৌশলে এরিয়ে যান।

তিনি বলেন, লাম্পি (চর্ম) রোগটি মশা-মাছি থেকে ছড়ায়।তার পরামর্শ এ রোগে আক্রান্ত পশুদের মশা-মাছি গাযে বসতে না পরে সে ব্যবস্থা নেয়া।এ লাম্পি (চর্মরোগ) রোগ নির্মুলে কোন ভ্যাকসিন অবিস্কার হয়নি।তবে এ রোগ নিরাময়ে বাংলাদেশ কোন কীট আবিস্কার করেনি। বিশ্বের কয়েটি দেশের অবিস্কার লাম্পি রোগ নিরাময় কীট বিছিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে।তার দাম অনেক বেশী। আমাদের প্রাণী সম্পদ দপ্তর লাম্পি সিট আবিস্কার করেছে অতি শীঘ্রই আমাদের দপ্তর গুলোতে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নীলফামারীতে পশু সম্পদ হুমকির মুখে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪


নীলফামারী জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকান্ডে অসন্তোষ গবাদি পশু লালন-পালনকারীরা।কর্মকর্তাদের অফিসে অতুপস্থিত আর খেয়াল খুশি মতো অফিসে আসা-যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে পশু সম্পদ।চলমান লাম্পিং (চর্মরোগ রোগে আক্রান্ত গবাদি পশু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গৃহে ও খামারে লালন-পালনকারীরা।


নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের আব্দুল মতিন বাংলা টাইমসকে জানান:আমার একটি গাভি ও একটি বকনা চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়।স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাপত্র নিয়েও রোগটি নিরাময়ের কোন লক্ষন দেখতে না পাওয়ায় ছুটে আসি উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে।সেখানকার কর্মকর্তা সম্প্রতি অবসরে গেছেন।

এ অফিসের দায়িত্বে আছেন জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল হক।তার খোঁজে ছুটে যাই জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে। সেখানে তাকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ি।তখন অফিসের একজন জানান,জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ডাঃ সিরাজুল হক রংপুর বিভাগীয় শহরে বসবাস করেন।সেখান থেকে অফিসে আসা যাওয়া করেন।কোনদিন আসেন কোনদিন আসেন না।এ ভাবেই চলছে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে।


তিনি আমাকে পরামর্শ দেন আপনি জেলা ভেটেরিনারি (পশু) হাসপাতালের চিকিৎসকের সাথে কথা বলেন।তিনি আপনাকে সু-চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন। পরামর্শদাতার কথা আমলে নিয়ে জেলা পশু হাসপাতালে যাই।সেখানে একজন অফিসসহকারী বসে আছেন।হাসপাতালের চিকিৎসক আসেননি।তার জন্য প্রায় ৪ ঘন্টা অপেক্ষায় থাকার পরোও চিকিৎসকের দেখা পাইনি।সেদিন আমার মতো অনেকেই ফিরে গেছেন।

নীলফামারী প্রাণী সম্পদ দপ্তরের এ অবস্থা চলতে থাকলে পশু সম্পদ পড়বে হুমকির মুখে।তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরদারী ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।


আর্কষিক আভির্ভুত এই ভাইরাস জনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা চর্মরোগ মহামারি আকারে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে।


জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে: এ জেলায় ৭ লাখ ৩২ হাজার ৮১৭ গবাদিী পশু রয়েছে।এর মধ্যে ৯ হাজার ৬২৬টি খামারে ৫৭ হাজার ৭৫৬টি খামারে আর ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬১টি গরু পালন করে গৃহে।

অফিসের একটি নির্ভযোগ্য সুত্রের তথ্যমতে: নীলফামারী জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল হক যোগদানের পর থেকেই অফিস স্টাফদের সাথে সম্পর্ক ভাল নেই তার।অফিসটা যেন তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন।

এসব বিষয় নিয়ে বাংলা টাইমসের প্রতিবেদক তার অফিসে গেলে তাকে কর্মস্থলে না পেয়ে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি জানান অমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত আছি পরে কথা হবে বলে ফোনটি কেটে দেন।তার পরদিন অফিসে গেলেও তার দেখা পাননি তিনি।

কয়েকদিন পর তার সাথে মুঠো ফোনে কথা কথা হলে:তিনি জানান, আমি অফিসে আগামীকাল আসবে আসেন।তার কথা মতো সেদিন অফিসে গেলে তার সাথে কথা হয়।তিনি রংপুরে থাকে কর্মস্থলে আসা-যাওযার কথা স্বীকার করেন।অফিসে আসা যাওযা কথা জিজ্ঞাস করলে বিষয়টি সুকৌশলে এরিয়ে যান।

তিনি বলেন, লাম্পি (চর্ম) রোগটি মশা-মাছি থেকে ছড়ায়।তার পরামর্শ এ রোগে আক্রান্ত পশুদের মশা-মাছি গাযে বসতে না পরে সে ব্যবস্থা নেয়া।এ লাম্পি (চর্মরোগ) রোগ নির্মুলে কোন ভ্যাকসিন অবিস্কার হয়নি।তবে এ রোগ নিরাময়ে বাংলাদেশ কোন কীট আবিস্কার করেনি। বিশ্বের কয়েটি দেশের অবিস্কার লাম্পি রোগ নিরাময় কীট বিছিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে।তার দাম অনেক বেশী। আমাদের প্রাণী সম্পদ দপ্তর লাম্পি সিট আবিস্কার করেছে অতি শীঘ্রই আমাদের দপ্তর গুলোতে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।