ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তারা

আজিজুল বুলু,নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীর হাঁট-বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তারা। বিক্রেতারা বলছেন চাহিদার তুলনায় আমদানী কম থাকায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসিনতাকে দায়ি করছেন ভোক্তারা।

রোববার (১৩ অক্টোম্বর) নীলফামারী শহরের বড়বাজার, সাহেববাজার, নতুনবাজার,উকিলেরমোড় বাজার,পাঁচমাথা বাজার ও কালিতলা বাজার ঘুরে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।

আলু প্রতিকেজি ৫৫ থেকে ৬০ ঢেঁরস -৮৫ থেকে ৯০, পোটল-৬০ থেকে ৭০,কাঁকড়োল ৮০ থেকে ৯০ ,পিয়াছ ১২০ থেকে ১৩০, রসুন ২২০ থেকে ২৩০ , আদা ৩২০ থেকে ৩৪০, শাঁক প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। বয়লার মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০, দেশী মুরগরি ডিম প্রতি ডজন ২৪০ থেকে ২৫০, বয়লার মুরগী প্রকিকেজি ২০০ থেকে ২১০, চায়না সোলালী মুরগী ২৮০ থেকে ৩০০ , দেশী মুরগী ৬০০ থেকে ৬২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বড়বাজারে আসা নীলফামারী জেলা শহরের উপকন্ঠ কানিয়াল খাতা এলাকার আব্দুল মজিদ জানান, কাঁচাবাজে গত সপ্তাহে এক কেজি কঁচামরিচ কিনেছিলাম ১২০ টাকা কেজি দরে। একই জাতের কাঁচামরিচের দাম ৪২০ টাকা। শুধু কাঁচামরিচ নয়;প্রতিটি পণ্যের বাজার ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশী চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

বাজারে আসা একাধিক ভোক্ত জানান, স্থানীয় প্রশাসন বাজার দর নিয়ন্ত্রণে উদাসিনতা থাকায় প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোদী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দু’মাস পেরিয়ে গেলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন উল্ল্খেযোগ্য ভুমিকা লক্ষ্যকরা যাচ্ছে না। হাট-বাজার গুলোতে প্রতিটি পণ্যের দাম উর্দ্ধগতি।এর ফলে ভোক্তারা পণ্যের আকাশচুম্বী দাম শুনে ঘামছে বলে জানা তারা।

কালিতলা বাজারের কাঁচামাল খুচরা বিক্রেতা জামাল জানান,আমি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছি। বাজার পরিস্থিতি এর আগে কখনো হয়নি।এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাঁকসবজীর দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

বড়বাজার কাঁচামালের আড়ৎদার আবুল কাশেম জানান, কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষনে কাঁচামরিচসহ শাক-সবজী বাজারে চাহিদার তুলনায় কম আমদানী হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পায়েছে।

সরকারের বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে থাকি। তবে বাজার দর উর্দ্ধমুখীর একটি সিন্ডিকেট চক্রের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ সিন্ডিকেট প্রতিরোধ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নীলফামারীতে নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তারা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

নীলফামারীর হাঁট-বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তারা। বিক্রেতারা বলছেন চাহিদার তুলনায় আমদানী কম থাকায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসিনতাকে দায়ি করছেন ভোক্তারা।

রোববার (১৩ অক্টোম্বর) নীলফামারী শহরের বড়বাজার, সাহেববাজার, নতুনবাজার,উকিলেরমোড় বাজার,পাঁচমাথা বাজার ও কালিতলা বাজার ঘুরে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।

আলু প্রতিকেজি ৫৫ থেকে ৬০ ঢেঁরস -৮৫ থেকে ৯০, পোটল-৬০ থেকে ৭০,কাঁকড়োল ৮০ থেকে ৯০ ,পিয়াছ ১২০ থেকে ১৩০, রসুন ২২০ থেকে ২৩০ , আদা ৩২০ থেকে ৩৪০, শাঁক প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। বয়লার মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০, দেশী মুরগরি ডিম প্রতি ডজন ২৪০ থেকে ২৫০, বয়লার মুরগী প্রকিকেজি ২০০ থেকে ২১০, চায়না সোলালী মুরগী ২৮০ থেকে ৩০০ , দেশী মুরগী ৬০০ থেকে ৬২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বড়বাজারে আসা নীলফামারী জেলা শহরের উপকন্ঠ কানিয়াল খাতা এলাকার আব্দুল মজিদ জানান, কাঁচাবাজে গত সপ্তাহে এক কেজি কঁচামরিচ কিনেছিলাম ১২০ টাকা কেজি দরে। একই জাতের কাঁচামরিচের দাম ৪২০ টাকা। শুধু কাঁচামরিচ নয়;প্রতিটি পণ্যের বাজার ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশী চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

বাজারে আসা একাধিক ভোক্ত জানান, স্থানীয় প্রশাসন বাজার দর নিয়ন্ত্রণে উদাসিনতা থাকায় প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোদী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দু’মাস পেরিয়ে গেলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন উল্ল্খেযোগ্য ভুমিকা লক্ষ্যকরা যাচ্ছে না। হাট-বাজার গুলোতে প্রতিটি পণ্যের দাম উর্দ্ধগতি।এর ফলে ভোক্তারা পণ্যের আকাশচুম্বী দাম শুনে ঘামছে বলে জানা তারা।

কালিতলা বাজারের কাঁচামাল খুচরা বিক্রেতা জামাল জানান,আমি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছি। বাজার পরিস্থিতি এর আগে কখনো হয়নি।এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাঁকসবজীর দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

বড়বাজার কাঁচামালের আড়ৎদার আবুল কাশেম জানান, কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষনে কাঁচামরিচসহ শাক-সবজী বাজারে চাহিদার তুলনায় কম আমদানী হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পায়েছে।

সরকারের বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে থাকি। তবে বাজার দর উর্দ্ধমুখীর একটি সিন্ডিকেট চক্রের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ সিন্ডিকেট প্রতিরোধ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।