ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে চলছে প্রচারণা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ পঞ্চগড় সদর ও আটোয়ারী উপজেলার পাশাপাশি ৮মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পঞ্চগড়েও তেতুলিয়া উপজেলায়।নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা প্রচারণার গতি বাড়াচ্ছে। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে প্রচার। তবে তেতুলিয়া উপজেলার অনেক প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচারণা।

উচ্চ সাউন্ড আর প্রচারণার ঝরে অতিষ্ঠ উপজেলা বাসী।বিকাল ৩ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে সাউন্ড বক্স বাজানোর প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে বাজার গুলোর আশেপাশে এর তীব্রতা আরও বেশি।প্রতিযোগিতার কারণে উপজেলার অনেকে জানান, সাউন্ড বক্স এর উচ্চ সাউন্ডের কারণে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা এর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ছোট বাচ্চাগুলো উচ্চ শব্দের ফলে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে ভয়ে উৎকিয়ে উঠছে।উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবীরা বলেন, আমরা সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু বিশ্রাম করি।

কিন্ত বিভিন্ন প্রার্থীর উচ্চ শব্দের মাইক আর সাউন্ড বক্সে প্রচারণার কারণে আমরা ঠিকমত বিশ্রাম নিতে পারছিনা ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যোগদান করতে পারছিনা।নির্বাচনী আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করে কয়েক শত মোটর সাইকেল নিয়ে একটি বিশাল শোভাযাত্রাও লক্ষ্য করা গেছে।আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার জন্য সুস্পষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে।

নির্বাচনি প্রচারকার্যে যান- বাহনের ব্যবহার সংক্রান্ত বাধানিষেধ, নির্বাচনি প্রচারণার জন্য একটি ইউনিয়নে মাত্র একটি মাইকের ব্যবহার, প্রতি ইউনিয়নে মাত্র একটি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন, দেওয়াল লিখন সংক্রান্ত, পিভিসি ব্যানারের ব্যবহার সংক্রান্ত বা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনের আচরণবিধি লংঘন করলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা৷ তেমন কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও তদারকি চোখে পরছেনা তাদের। ফলে প্রার্থীরা যে যার ইচ্ছে মতো অবাধে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন৷

এবিষয়ে তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার শামিম হোসেন জানান, তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে আমরা সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে ফরোয়ার্ড করব। তারা আইনগত ব্যাবস্থা নিবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নির্বাচনী আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে চলছে প্রচারণা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ পঞ্চগড় সদর ও আটোয়ারী উপজেলার পাশাপাশি ৮মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পঞ্চগড়েও তেতুলিয়া উপজেলায়।নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা প্রচারণার গতি বাড়াচ্ছে। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে প্রচার। তবে তেতুলিয়া উপজেলার অনেক প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচারণা।

উচ্চ সাউন্ড আর প্রচারণার ঝরে অতিষ্ঠ উপজেলা বাসী।বিকাল ৩ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে সাউন্ড বক্স বাজানোর প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে বাজার গুলোর আশেপাশে এর তীব্রতা আরও বেশি।প্রতিযোগিতার কারণে উপজেলার অনেকে জানান, সাউন্ড বক্স এর উচ্চ সাউন্ডের কারণে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা এর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ছোট বাচ্চাগুলো উচ্চ শব্দের ফলে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে ভয়ে উৎকিয়ে উঠছে।উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবীরা বলেন, আমরা সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু বিশ্রাম করি।

কিন্ত বিভিন্ন প্রার্থীর উচ্চ শব্দের মাইক আর সাউন্ড বক্সে প্রচারণার কারণে আমরা ঠিকমত বিশ্রাম নিতে পারছিনা ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যোগদান করতে পারছিনা।নির্বাচনী আচরণ বিধির তোয়াক্কা না করে কয়েক শত মোটর সাইকেল নিয়ে একটি বিশাল শোভাযাত্রাও লক্ষ্য করা গেছে।আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার জন্য সুস্পষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে।

নির্বাচনি প্রচারকার্যে যান- বাহনের ব্যবহার সংক্রান্ত বাধানিষেধ, নির্বাচনি প্রচারণার জন্য একটি ইউনিয়নে মাত্র একটি মাইকের ব্যবহার, প্রতি ইউনিয়নে মাত্র একটি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন, দেওয়াল লিখন সংক্রান্ত, পিভিসি ব্যানারের ব্যবহার সংক্রান্ত বা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনের আচরণবিধি লংঘন করলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা৷ তেমন কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও তদারকি চোখে পরছেনা তাদের। ফলে প্রার্থীরা যে যার ইচ্ছে মতো অবাধে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন৷

এবিষয়ে তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার শামিম হোসেন জানান, তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে আমরা সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে ফরোয়ার্ড করব। তারা আইনগত ব্যাবস্থা নিবেন।