বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার
ধারণ ক্ষমতা ৬৩৩, বন্দি রয়েছে সাড়ে ৯০০
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
৬৩৩ জন বন্দীর ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় সাড়ে ৯শ বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছে। এর উপর আবার সাম্প্রতিককালে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই বন্দী বাড়ছে। এসব বন্দীদের নিয়ে প্রায়ই বিপাকে পরছেন কর্তৃপক্ষ। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বরিশাল মহানগরীসহ জেলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে।
এরমধ্যে বরিশাল মহানগর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯৩ জন। এরমধ্যে মামলায় তালিকাভুক্ত অভিযুক্ত একজন। অন্যরা সিন্দগ্ধ বলে জানা গেছে।
মহানগরীতে সাম্প্রতিক সহিংসতা কেন্দ্রিক ৬টি মামলার মধ্যে পুলিশের দায়ের করা ৫টি। এসব মামলায় নম উল্লেখ রয়েছে ৩৫ জনের। আর অজ্ঞাত আসামীর সংখ্যা তিন হাজারের উপর। এছাড়া বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়ের করা আরেকটি মামলায় ২৭ জনের নামোল্লেখ সহ ৮শ অজ্ঞাতকেও আসামী করা হয়েছে।
বৃটিশ আমলে তৎকালীন বাংলায় যে কয়টি কারাগার স্থাপন করা হয় বরিশাল জেলা কারাগার তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৩ সালে বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৯৬ সালে জেলা কারাগারটির নামাকরন করা হয় কেন্দ্রীয় কারাগার। কিন্তু এখানের অবকাঠামো বা বন্দীদের সুযোগ সুবিধার তেমন সম্প্রসারন ঘটেনি। বৃটিশ ও তৎকালীন পাকিস্তান আমলের অবকাঠামোর স্থলে ২০০৭ সালে সিডরের পরে পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় একটি বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে মাত্র। তবে কারাগারটির ধারন ক্ষমতা সাড়ে ৬শ’র মধ্যেই রয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি দায়িত্বশীল সূত্রের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী এ করাগারটিতে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯শ। ফলে প্রায় ৫০ ভাগ অতিরিক্ত বন্দীর আবাসন ও তাদের খাবার সরবারহ নিয়ে চরম সংকট চলছে।
বিষয়টি নিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারের সাথে কথা বলতে তার সেল ফোনে গত দুদিন চেষ্টা করেও কোন সাড়া মেলেনি।
কারা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের ডিআইজি প্রিজন জানান, সম্প্রতি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা দেয়াল সহ অভ্যন্তরের বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারাবন্দীদের মানবাধিকার সংরক্ষিত রেখে আমরা এখানে বন্দীদের রাখার চেষ্টা করছি।
কারাগারের সংস্কার ও উন্নয়নের ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে কিছু পরিবর্তিত ও অনিবার্য পরিস্থিতিতে বন্দীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে সরকার সচেতন আছে।
উল্লেখ্য, বরিশাল কারাগারের মালিকানায় কলেজ রোডে শংকর মঠ এলাকায় বেশ কিছু পরিত্যক্ত জমি রয়েছে।