দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ চরম সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি।নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নাজেহাল অবস্থা।শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি।
গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখীর কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা ও বরবটি ১৪০ টাকা।
প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ১৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ছোট আকারের বাঁধাকপি ৮০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা ও মুলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা। ধনে পাতার কেজি ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৮০ টাকা। বাজারে মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরোনো আলু ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সদর ও বিজয়নগরে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানিয়ে বলেন,তাদের আয় অপরিবর্তিত থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন কঠিন করে তুলেছে।বর্তমানে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা,ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা এবং রুই মাছ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামও অতিমাত্রায় বেড়েছে,যা নিম্নবিত্তদের সংকটে ফেলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সদর উপজেলার পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা রিকশাচালক মোহাম্মদ আলী জানান, তার দৈনিক আয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা,যা দিয়ে পরিবারের খরচ মেটানো প্রায় অসম্ভব।নাসিরনগরের বাসিন্দা ফুটপাতে পুরনো কাপড় বিক্রেতা মো. জাহের জানান,তার দোকানে দৈনিক ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি হলেও সংসার খরচ,দোকানভাড়া ও ঋণের চাপ নিয়ে চিন্তিত।
সরা্ইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা হোটেল শ্রমিক শহিদ মিয়া এবং দোকান কর্মচারী আলামিন ইসলাম জানান,তাদের বর্তমান আয় দিয়ে মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ বহন করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।